ছয় লেনে উন্নীত হচ্ছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়ার ইন্দ্রপুল সেতু। সাথে প্রশস্ত করা হচ্ছে সেতুর পূর্বপাড়ের গোল চত্বরটিও। পাশাপাশি পৃথক সৌন্দর্য বর্ধন প্রকল্পের মাধ্যমে তৈরি করা হবে রঙিন পানির ফোয়ারা। দৃষ্টিনন্দন ডাঞ্চিং রঙিন পানির ফোয়ারার সাথে ইন্দ্রপুল সেতু ও বাইপাস রোডের সম্মুখে এবং গোল চত্বর এলাকায় স্থাপিত হবে বঙ্গবন্ধুর বড় ছেলে শেখ কামাল স্কোয়ার। এ কর্মযজ্ঞ সম্পন্ন করতে প্রকল্প এলাকায় গড়ে ওঠা লবণসহ ১৫টি শিল্প প্রতিষ্ঠান অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
জাইকার অর্থায়নে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ক্রস বর্ডার বিভাগের তত্ত্বাবধানে ইন্দ্রপুলের চাঁনখালী খালের উপর ৬ লেনের সেতু ও গোল চত্বরটির নির্মাণ কাজ করছে স্পেক্ট্রা ইঞ্জিনিয়ারস লিমিটেড নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সেতুর সাথে এক কিলোমিটার অ্যাপ্রোচ সড়ক এবং বাইপাস মোড়ে গোল চত্বরটি নির্মাণ করা হবে। ১৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এর মধ্যে ভূমি অধিগ্রহণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৯০ কোটি টাকা। এ প্রকল্পে দোহাজারীতে আরেকটি সেতু নির্মাণসহ সরকার ভূমি অধিগ্রহণ ব্যয় বাবদ ১০৮ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করেছে বলে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়।
ক্রস বর্ডার রোড নেটওয়ার্কিং ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের প্রকল্প ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী জুলফিকার আহমদ বলেন, ইন্দ্রপুল সেতু ও গোল চত্বর নির্মাণের কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। আশা করি ২০২২ সালের জুন মাসের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করা যাবে। অধিগ্রহণকৃত ভূমি বুঝে পেলে কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। তাছাড়া এ প্রকল্পের অধীনে ৪ লেনের বাইপাস সড়কটি সেতু থেকে ১ কিলোমিটার পর্যন্ত ৬ লেন করা হবে।
হইপ সামশুল হক চৌধুরী জানান, চলতি বছরের নভেম্বর মাসের মধ্যে চট্টগ্রাম ডিসি অফিসের মাধ্যমে ক্ষতিপূরণের টাকা ক্ষতিগ্রস্তদের প্রদান করা হবে। তিনি বলেন, ৬ লেনের ইন্দ্রপুল সেতু, গোল চত্বর এবং রঙিন পানির ডাঞ্চিং ফোয়ারা এবং বঙ্গবন্ধুর বড় ছেলে শেখ কামালের ছবিসহ স্কোয়ার নির্মাণের মধ্য দিয়ে পটিয়ায় আরেকটি দৃশ্যমান উন্নয়ন হবে।
এদিকে লবণ মিল মালিকদের সাথে জটিলতা নিরসনে হুইপ সম্প্রতি কারখানার মালিকদের সাথে বৈঠক করেন। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, ক্রস বর্ডার প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী জুলফিকার আহমদ, দোহাজারী সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহ, পৌর মেয়র আইয়ুব বাবুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ, লবণ মিল মালিক সমিতির ফজলুল হক আল্লাই, ওয়াহিদুস সামাদ হেলাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পটিয়া লবণ মিল মালিক সমিতির সদস্য মোহাম্মদ নাছির বলেন, এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে আমরা ৭০ বছরের পুরনো শিল্প প্রতিষ্ঠানের জায়গা ছেড়ে দিচ্ছি। সরকারের কাছে দাবি, ভূমি ও অবকাঠামোগত ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের ব্যবসায়িক ও মেশিনারি পুনর্বাসন, ৬ মাসের স্টাফ সেলারিসহ নায্য ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি জানাচ্ছি।