নৌকার টিকেট পেয়ে বললেন ‘আমি প্রার্থী নই’!

চরপাথরঘাটা ইউপি নির্বাচন

পটিয়া প্রতিনিধি | রবিবার , ১৫ মে, ২০২২ at ৫:০৭ পূর্বাহ্ণ

কর্ণফুলীর চরপাথরঘাটা ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী নিয়ে নানা নাটকিয়তার সৃষ্টি হয়েছে। গত শুক্রবার সারাদেশে দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত তালিকায় চরপাথরঘাটা ইউপি নির্বাচনের জন্য নাম আসে উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ আলাউদ্দিন মিয়ার। কিন্তু নাম আসার পরপরই আলাউদ্দিন নিজের ফেসবুক পেইজে স্ট্যাটাস দেন- কেউ বিভ্রান্ত হওয়ার হওয়ার কিছু নেই, প্রিন্টিংয়ে ভুল হয়েছে। নৌকার মাঝি প্রিয় ভাই সেলিম হক!
এ স্ট্যাটাসের পর কর্ণফুলী উপজেলায় ভোটার ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মাঝে এটি ব্যাপক আলোচনার বিষয়বস্তুতে পরিণত হয়। আলাউদ্দিন নিজেই চরপাথরঘাটায় চেয়ারম্যান পদে নৌকার টিকেট পেতে মরিয়া উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিম হকের নাম প্রস্তাব করে স্ট্যাটাস দেয়ায় বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। বর্তমানে নৌকার টিকেট পাওয়া উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলাউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক সেলিম হক ঢাকায় অবস্থান করছেন। সকাল থেকে দুই জনের সঙ্গে কথা বলতে মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা চালিয়ে তাদের পাওয়া যায়নি।
এদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলী রণি ফেসবুক পেইজে একইরকম স্ট্যাটাস দেন- চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের নৌকার মনোনয়ন নিয়ে বিভ্রান্ত হওয়ার কোনো কারণ নেই। টাইপিং মিসটেক, মুহাম্মদ সেলিম হক নৌকার মাঝি।
জানা গেছে, চরপাথরঘাটায় ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগে নৌকার টিকেট পেতে দলীয় ফরম সংগ্রহ করেন সাবেক চেয়ারম্যান ছাবের আহমদ, জেলা শ্রমিক লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইসলাম আহমদ, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিম হক ও যুগ্ম সম্পাদক মো. আলাউদ্দিন। মূলত সেলিম হকের ডামি প্রার্থী হিসেবে আলাউদ্দিন ফরম জমা দিলেও দলীয় ঘোষণায় সেলিম হকের নাম না আসায় বেকায় পড়ে যান সেলিম। এতে নিজ থেকেই দলীয় প্রার্থী না হওয়ার ঘোষণা দেন আলাউদ্দিন। বর্তমানে তিনি নিজেই তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে সেলিম হককে নৌকার টিকেট নিয়ে দিতে ঢাকায় অবস্থান করছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়। এছাড়া প্রার্থী না হওয়ার ব্যাপারে লিখিত আবেদনও জমা দেন কেন্দ্রের দলীয় কার্যালয়ে। এ জটিল সমীকরণের সমাধান হতে আজ রোববার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলে জানা যায়।
এ নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ মুখ না খুলতে গণমাধ্যমকে এড়িয়ে চলছেন। এ বিষয়ে কথা বলতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলী রণির মোবাইলে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্য, ইউপি নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, ১৭ মে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। বাছাই ১৯ মে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার ২৬ মে ও প্রতীক বরাদ্দ ২৭ মে। আগামী ১৫ জুন ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে নৌকার মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ছাবের আহমদ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমামলার অন্যতম আসামি ইন্দ্রজিত গ্রেপ্তার
পরবর্তী নিবন্ধরামু বিকেএসপিতে খাবার খেয়ে ১৩ শিক্ষার্থী অসুস্থ