নোংরা পরিবেশে খাবার প্রস্তুত বন্ধ হওয়া উচিৎ

| রবিবার , ১৩ মার্চ, ২০২২ at ৬:৩৭ পূর্বাহ্ণ

ইসলামে ব্যবসাকে হালাল রুজি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। এবং সুদকে হারামের পাশাপাশি ভেজাল খাদ্য ক্রয় বিক্রয় এবং খাদ্য মওজুদ সম্পর্কে কঠিন এবং কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে। “আল্লাহ বলেন, ‘হে আহলে কিতাবগণ! কেন তোমরা জেনে শুনে সত্যকে মিথ্যার সঙ্গে সংমিশ্রিত করছ এবং সত্যকে গোপন করছ’। (সুরা আলে ইমরান : ৭১)। অথচ কতিপয় ব্যবসায়ী ধর্মীয় বিধি বিধান অনুসরণ না করার পাশাপাশি অহরহ খাদ্যে ভেজাল দেয়া তথা রাসায়নিক পদার্থ কেমিক্যাল বা বিষ, কাপড়ের রঙ, পোড়া মুবিল, ইউরিয়া সার, মেয়াদোত্তীর্ণ উপকরণসহ মানুষের খাওয়ার অনুপযোগী বিভিন্ন বর্জ্য পদার্থ মিশ্রিত করা,বস্তুর দোষত্রুটি গোপন রাখা, মিথ্যা তথ্য দেয়া এবং ওজনে কম দেয়ার মাধ্যমে সামাজিক, মানবিক ও নৈতিক অপরাধ করে চলেছে। নোংরা এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি, বিক্রি ও বিপণন এবং খাদ্যে ভেজাল মেশানোর জন্যে দায়ী গণ দুশমনদের বিরুদ্ধে ফৌজদারী কার্যক্রম গ্রহণের পাশাপাশি প্রচলিত আইনের সংশোধনের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ডের বিধান সংযুক্ত করা সময়ের দাবী। আমাদের প্রত্যাশা রাষ্ট্র, সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্যকর পরিবেশে বিশুদ্ধ খাবার তৈরি এবং খাদ্যে ভেজাল মিশ্রণ বন্ধে কার্যকর কঠোর আইন প্রয়োগের পাশাপাশি ভেজাল বিরোধী তদারকি কার্যক্রম আরও শক্তিশালী এবং কার্যকর করার ব্যাপারে আশু পদক্ষেপ গ্রহণ করে মানুষের জীবন বিপন্নকারী সামাজিক অপরাধ বন্ধ করবেন।

মোহাম্মদ মন্‌জুরুল আলম চৌধুরী
২২ গুরা মিয়া চৌধুরী লেইন
দেওয়ান বাজার, চট্টগ্রাম ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকবি জসীম উদ্‌দীন : পল্লীর আবহমান ঐতিহ্যের ধারক
পরবর্তী নিবন্ধতুমি আমার সংগ্রামের সহযোদ্ধা