নৈতিকতা বিবর্জিত আমাদের ছাত্র রাজনীতি : আমরা কী শিক্ষা দিচ্ছি?

স্বরূপ বিকাশ বড়ুয়া বিতান | শুক্রবার , ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ at ১০:২৮ পূর্বাহ্ণ

একটা সময় ছিলো ছাত্রনেতা পরিচয় দিলে গুরুজনেরা স্নেহের চোখে দেখতো, আর ছাত্ররা আশার স্থল মনে করতো, আর এখন ছাত্রনেতা মানে আতঙ্কের আরেক নাম। আর এসব কোমলমতি ছাত্রদের মাথা বিক্রি করে কিছু বড় ভাইরা যাদের অতীত বলতে চাটুকারিতা ছাড়া কিছুই ছিলো না।

 

তারা রাজনীতিকে টাকা কামানোর হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। আর বড় ভাইদের প্রশ্রয়ে দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে কথিত ছাত্র নেতারা। ছাত্র রাজনীতির একটি সোনালী অতীত ও গৌরবময় অর্জন আছে। ৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ৬৬ ছয় দফা আন্দোলন থেকে ৬৯ গণ অভ্যুত্থান অতঃপর ৭১এ মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম। সেই ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধুকে বঙ্গন্ধুউপাধিতে ভূষিত করেন।

এখন ছাত্রনেতা বলতে আমরা বুঝি অস্ত্র প্রদর্শনে নিজের পেশী শক্তি প্রর্দশন, কুপিয়ে কুপিয়ে নিরীহ বিশ্বজিৎকে হত্যা, বুয়েটের মেধাবী ছাত্রকে নির্মম ভাবে হত্যা। নীরবে চাঁদাবাজি।এ সব কিছু সংগঠিত হচ্ছে ছাত্র রাজনীতি অক্ষর জ্ঞানহীন কথিত ছাত্রনেতার ছত্রছায়ায়।

এর বিপরীতেও ছাত্র রাজনীতি আছে। ছাত্রদের অধিকার লড়াইয়ে যে ছাত্র তার বুকের তাজা রক্ত দিয়েছে সেইতো নেতা, যার নেতৃত্ব গুণাবলিতে শিষ্টাচার থাকবে, মানবিক গুণাবলি থাকবে, সহনশীলতা থাকবে, আর থাকবে শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।

বসুনিয়া, দীপালি সাহা, বাবর, মুজিব, জিন্নাহ, রশীদ, আমিন, বেলাল, মানিক, মঈনুল, শহীদ এনাম, মনসুর অসংখ্য তাজা প্রাণ। বাংলার এমন কোনো সবুজ প্রান্তর ছিলো না যাদের রক্তে লাল হয়নি, তাদের জীবন দিয়ে প্রমাণ করে গেছে তারা যুদ্ধে ছিলো, তারা যোদ্ধা ছিলো, তারা ছাত্র আধিকার আদায়ে নিজের জীবন বিসর্জন দিয়ে স্বর্ণাক্ষরে লিখে গেছেন তাদের নাম। ছাত্র রাজনীতির হারানো গৌরব ফিরে আসুক। পরিশেষে বলবো ‘আবার তোরা মানুষ হ’।

লেখক : সাবেক তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক,

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী যুবলীগ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচিকিৎসকদের উচিত ভালো ব্যবহার করা
পরবর্তী নিবন্ধশিক্ষকদের সম্মান যেন হুমকির মুখে না পড়ে