চট্টগ্রাম–৮ আসনের উপ–নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নোমান আল মাহমুদ বলেন, আমি সব সময় সাধারণ মানুষের কাছাকাছির থাকার চেষ্টা করেছি। আগামীতেও করে যাবো। আমি নির্বাচিত হলে যেই সমস্যাগুলো তৎক্ষণিকভাবে সমাধান করা যায় সে ব্যাপারে সচেষ্ট থাকবো। চট্টগ্রাম নগর সংলগ্ন এই নির্বাচনী এলাকার মানুষ যাতে পূর্ণাঙ্গ শহরের সুযোগ–সুবিধা ভোগ করতে পারে সেটাই হবে আমার প্রধান অঙ্গীকার। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে কালুরঘাট সেতুর দক্ষিণ পাড় থেকে বোয়ালখালীস্থ কধুরখীল পর্যন্ত গণসংযোগকালে তিনি এসব কথা বলেন।
দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় গেছে সাধারণ মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নিজেই স্বীকার করেছেন ধারাবাহিকভাবে তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকায় শতাধিক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং ভূমিহীন ও গৃহহীনদের গৃহ ও ভূমি দান এবং দেশের প্রাান্তিক গোষ্ঠীর এক কোটিরও বেশি মানুষকে আর্থিক প্রণোদনা প্রদান করা সম্ভব হয়েছে। অত্র নির্বাচনী এলাকায়ও গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষেরা ভূমি ও গৃহ পেয়েছেন। এটা এই নির্বাচনী এলাকার একটি বড় অর্জন। এই নির্বাচনী এলাকায় উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকার বিজয়ের আর কোন বিকল্প নেই। তাই নৌকার প্রার্থী নোমান আল মাহমুদের বিজয় নিশ্চিত করতে হবে।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন বলেছেন, আসন্ন চট্টগ্রাম–৮ আসনের উপ–নির্বাচন আমাদের জন্য একটি অগ্নি পরীক্ষা। কেননা এই সময়ে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে নির্বাচন ব্যবস্থাপনাকে নসাৎ করার জন্য একটি মহল তৎপরতা চালাচ্ছে। তারা নির্বাচনী মাঠে না থাকলেও অযৌক্তিক আন্দোলনের নামে ধ্বংসাত্মক রাজনীতি করছেন। এসব কিছু জনগণ মেনে নেয় নি এবং ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করে চলেছে। এই অবস্থায় আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে সাধারণ মানুষকে ভোটকেন্দ্রে স্বশরীরে উপস্থিত থাকার জন্য সাহস যোগাতে হবে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আব্দুল কাদের সুজন, বোরহান উদ্দীন ইমরান, তিমির বরণ চৌধুরী, হাজী বেলাল আহমদ, নুরুল আমিন চৌধুরী, রেজাউল করিম রাজা, রেজাউল করিম বাবুল, আব্দুর রউফ, জহুরুল ইসলাম জহুর, শফিকুল আলম, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব প্রমুখ।