নির্বাচনে আসুন, দশ শতাংশ ভোট পান কিনা পরখ করে দেখুন

আজাদী প্রতিবেদন

বিএনপিকে তথ্যমন্ত্রী | রবিবার , ১১ জুন, ২০২৩ at ৪:৫৫ পূর্বাহ্ণ

তথ্য ও সমপ্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে পালিয়ে না যাবার জন্য অনুরোধ জানিয়ে বলেছেন, দয়া করে নির্বাচনের খেলা থেকে পালিয়ে যাবেন না। নির্বাচনে আসুন, অংশগ্রহণ করে আপনাদের জনপ্রিয়তা যাচাই করুন। আপনারা দশ শতাংশ ভোট পান কিনা সেটি পরখ করে দেখুন।

তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন আমরা ওয়াকওভার চাই না, নির্বাচনী খেলায় আপনারা আসুন, আমরা খেলে বিজয় লাভ করতে চাই, আওয়ামী লীগ খেলে আপনাদেরকে গোল দিতে চাই। কিন্তু বিএনপি খেলা থেকে পালিয়ে যেতে চান।

গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সাবেক সাংসদ মোছলেম উদ্দিন আহমদ ও সাবেক বোয়ালখালী উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল আলমের শোক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বোয়ালখালী উপজেলা আওয়ামী লীগ সিরাজুল ইসলাম ডিগ্রী কলেজ মাঠে এই শোক সভার আয়োজন করে।

বোয়ালখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ এমপি, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি এস. এম. আবুল কালাম।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির এখন দুই ভীতি, একটা হচ্ছে নির্বাচন ভীতি, আরেকটা হচ্ছে মানুষ। সেজন্য বিএনপি মহাসচিবসহ তাদের নেতাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিশেষ করে মার্কিন ভিসা নীতি ঘোষণার পর বিএনপির মাথা আরো বেশি খারাপ হয়েছে। কারণ এখন বিএনপি আর নির্বাচন প্রতিহত এবং বর্জন করার কথা বলতে পারবেনা, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, মোছলেম উদ্দিন আহমদের অনেক স্বপ্ন ছিল। তৎমধ্যে অন্যতম হচ্ছে কালুরঘাট সেতু। কালুরঘাট সেতু ইতিমধ্যে নীতিগত অনুমোদন হয়েছে। একনেকের প্রাথমিক স্তর অনুমোদন হয়েছে, চূড়ান্ত অনুমোদনও ইনশাল্লাহ হবে। সড়ক এবং রেল দুটি মিলেই একটি সেতু হবে। কালুরঘাট সেতুর বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজেই গুরুত্ব সহকারে দেখছেন। নেতাকর্মীদের বিনয়ী হবার অনুরোধ জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ক্ষমতায় থাকলে বিনয়ী হতে হয়, বিনয়ের কোন বিকল্প নাই। সমস্ত ভালো কাজ করেও যুবলীগ ছাত্রলীগ স্বেচ্ছাসেবক লীগ বা অন্য কোন অঙ্গ সংগঠনের কয়েকজনের উদ্যত আচরণের কারণে আমাদের সমস্ত সাফল্য ম্লান হতে পারেনা। কেউ দলের নাম ভাঙ্গিয়ে দল এবং সরকারের বদনাম করলে দল তাদের দায়িত্ব নিবেনা, দলে তাদের কোন জায়গা হবেনা। নতুন কোন দাবি দেওয়া নয়, এতদিন যাবত প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার যেসব উন্নয়ন করেছেন জনগণের কাছে সেটি প্রচার করুন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রথম নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন পেলেন লোকমান
পরবর্তী নিবন্ধসুষ্ঠু নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভোট ১০% : ফখরুল