নিরাপদ নৌ-রুট চাই

| সোমবার , ১৬ মে, ২০২২ at ৫:০২ পূর্বাহ্ণ

সন্দ্বীপ। প্রায় সাড়ে চার লাখ মানুষের বসবাস এখানে। জাতীয় উন্নয়ন অগ্রগতির অপার সম্ভাবনা হাতছানি দিচ্ছে চট্টগ্রামের দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপে। সন্দ্বীপের পশ্চিম অংশে জেগেছে বিশাল চর, যা কাজে লাগাতে পারলে উন্নত জনপদ হতে পারে সন্দ্বীপ। জাতীয় অর্থনীতিতে রেমিট্যান্স যোদ্ধারা ভূমিকা রাখছেন। বাংলাদেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রায় ১১ শতাংশ জোগান দিচ্ছেন এই দ্বীপের মানুষ এবং উপজেলাভিত্তিক সন্দ্বীপ দ্বিতীয়। কিন্তু সব কিছু ছাপিয়ে বিশদ সম্ভাবনার এ জনপদের প্রধান অন্তরায় সনাতনী যাতায়াত। প্রতিদিন সন্দ্বীপ-গুপ্তছড়া-চট্টগ্রামের কুমিরা ঘাট দিয়ে প্রায় ৫ হাজার মানুষ কাদা-মাটি মাড়িয়ে যাতায়াত করে। সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া ঘাট থেকে চট্টগ্রাম পৌঁছতে ১৫ কিলোমিটার সাগর পাড়ি দিতে হয় অনিরাপদ নৌযানে। প্রতিনিয়ত সন্দ্বীপের বাসিন্দাদের উপেক্ষা করতে হয় মৃত্যুর চোখ রাঙানি। মূল ভূখণ্ড থেকে অনেক দূরে চারদিকে জলরাশি বেষ্টিত এ দ্বীপের যাতায়াত ব্যবস্থার কাছে মানুষ যেন অসহায়। প্রাকৃতিক নানামুখী প্রতিকূলতায় বিপন্ন এই মানুষগুলোর চিকিৎসা সেবা নিয়তিনির্ভর শুধু অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে। শুধু মূল ভূখণ্ডের সাথে অনিরাপদ নৌ-যাতায়াতের কারণে এমন দুর্বিষহ কষ্ট সন্দ্বীপবাসীর। বারবার নৌ-দুর্ঘটনায় মানুষের প্রাণহানি ঘটে, তবুও নিরাপদ হয়নি যাতায়াত ব্যবস্থা। ২০১৭ সালের ২ এপ্রিল ১৮ জনের সলিল সমাধি আজও কাঁদায় সন্দ্বীপবাসীকে। তাই কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দ্বীপবাসীর কষ্ট লাঘবে নৌ-যাতায়াত নিরাপদ করুন।

শরীফ হাসান
সন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবয়সের দৌড়ঝাঁপ
পরবর্তী নিবন্ধশ্রীলঙ্কার সংকট চরমে-সমাধানের পথ কোথায়?