ছোট শিশুর যত্নে মায়েরা সকাল থেকে ব্যস্ত থাকেন। হাতে, পায়ে মোজা পরিয়ে গায়ে সোয়েটার পড়িয়ে বেশ যত্ন করেন এই শীতে। স্বামীর যত্নে গরম জল তৈরি করে রাখেন গৃহিণীরা।এছাড়াও বাসার বৃদ্ধদের ও বেশ যত্ন নেয় পুত্রবধূ। কিন্তু ঘরের নারীদের কোন যত্ন নেয়া হয়ে উঠে না।
নারীদের সকাল থেকে সকলের যত্নের কথা ভেবে ভেবে দিন কেটে যায়।
সকল কাজ শেষে নিজের জন্য আর যত্ন নেয়ার আলাদা সময় থাকে না। আবার সকাল থেকে নামতে হবে সংসার নামক যুদ্ধে এই ভাবনা ভাবতে ভাবতে রাতে চোখ বুজে যায় ঘুমে। আর ভোরের আলোর সাথে সাথে শুরু হয় পরিবারের সকলকে ভালো রাখার দায়িত্বের পাশাপাশি চাকরির দায়িত্বও।
যে সব নারী চাকরি করেন তারা নিজেদের সামান্য যত্ন নিলেও শীতের সময় যে আলাদা বেশি যত্নের প্রয়োজন সেটা আর নিতে পারেন না।
যারা গৃহিণী, তাদের ধারণা তারা নিজেদের সব কাজ শেষ করে ঠিক তাদের শরীরের খেয়াল নিবেন একটু সময় করে। পরে দেখা যায় সব কাজ হয় বটে কিন্তু শুধু নিজের জন্য সময় বের করে আর নিজের দিকে তাকানোর সময় পান না।
শীত আসার সাথে সাথে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে কিছু পরিবর্তন দেখা যায় বা শীতের প্রভাব পড়ে ত্বকে।
ঝরা পাতার মতো চুল ঝরে যাওয়া,ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া, ঠোঁট, পায়ের গোড়ালি ফেটে যাওয়া।
এছাড়াও শরীরের বিভিন্ন স্থানে চুলকানি,এলার্জি বেড়ে যাওয়া, নাক দিয়ে রক্ত পড়া, কুয়াশার কারণে সকালে, বিকালে মাথা কামড়ানো ও কোমরের ব্যথা দেখা দেয়া কমন সমস্যা।
নারীদের সকল কাজের পাশাপাশি নিজের যত্ন নেয়া উচিত। এই যেমন সকালে ঘুম থেকে উঠেই মুখ হাত ধুয়ে কাজে নেমে পড়ার আগেই একটু মুখে ময়েশ্চারাইজার ক্রিম মেখে নেয়া। হাতে পায়ে লোশন দিয়ে পায়ের মোজা পরতে না পারলেও এক জোড়া জুতা পরে নেয়া।
সকলকে ভালো রাখার পাশাপাশি নারীর নিজের প্রতিও যত্ন নিতে শিখতে হবে। যাদের জন্য সব করছেন তারাও বলে বসবে আসলে বউমা ঐরকমই এলোমেলো। পরিবারের সবার জন্য সব কাজ করতে গিয়ে যে নিজের যত্নটুকু নিতে পারেনি, এটা যাদের জন্য করেছে তারাও বলবে না। তাই এবার একটু নিজের দিকে তাকান।
লেখক : মিতা দাশ, সিনিয়র শিক্ষক
বিএএফ শাহীন কলেজ, চট্টগ্রাম।