সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে। সুখী সংসারটা আরো শান্তিময় এবং সুন্দর হয় যখন নারীর প্রাত্যহিক জীবনে এগিয়ে যাবার পথে ভালোবেসে তার স্বামী হাত ধরে পূর্ণ সমর্থন দিয়ে যায়। একটি পরিবারে যদি স্বামী স্ত্রী দুজনই চাকরিজীবী হয় তবে সে সংসারে নারী সদস্য সারাদিন অফিসের কাজ করে বাসায় এসে একটুও বিশ্রাম না নিয়ে সংসারের কাজে মন দেয় এবং পরিবারের প্রত্যক সদস্যের (শ্বশুর শাশুড়ি দেবর ননদ যারা যারা থাকে) সেবা যত্ন করে সবার চাহিদা পূরণ করে সংসারকে সুন্দর করার চেষ্টা করে। বাপের বাড়ি থেকে এসে শ্বশুর বাড়ির সকল সদস্যকে আপনার করে নেয় কী চমৎকারভাবে। একটি পরিবারকে কী চমৎকারভাবে নারীরা সাজিয়ে তোলে। স্নেহ, মায়া, মমতা, ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ করে রাখে। নারীদের এ এক অদ্ভূত ক্ষমতা সৃষ্টিকর্তা দিয়েছে। সেজন্য নারীদের পরিবারের সৌন্দর্যের উৎস বলা হয়। সে নারী চাকরিজীবী হোক কিংবা গৃহিণী। কর্মজীবী নারী যখন অফিসের কাজ শেষ করে বাসার কাজে মনোনিবেশ করে সেক্ষেত্রে যদি তার স্বামী তার গৃহস্থালি কাজে সহযোগিতা করে কিছু হাতের কাজ করে দেয় তবে দুজনের পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং সম্পর্কের মধ্যে আন্তরিকতাটা যেমন বাড়ে তেমনি বিশ্বাসের ভীতটাও মজবুত হয়। মনে রাখতে হবে স্বামী যেমন সারাদিন কাজ করে বাসায় ফেরে তেমনি চাকরিজীবী নারীও কাজ শেষে বাসায় ফেরে। দুজনের মাঝে ক্লান্তি আসে। স্বামী যখন স্ত্রীর পাশে থেকে ছোট ছোট কাজগুলো করে দেয় তখন সারাদিনের ক্লান্তির মাঝেও একটা প্রশান্তির ছোঁয়া যেন আপনা আপনি হৃদয় মাঝে অনুভূত হয়। এই সহযোগিতাটাই পরিবারকে সুন্দর করে সুখী করে বাড়িয়ে দেয় ভালোবাসা। যেখানে ভালোবাসা থাকে সেখানে সুখ শান্তির পরশ থাকে। পরিবার তখনই সুখী এবং সুন্দর হয় যখন পরিবারের নারীদের সকল কাজে পুরুষের সহযোগিতা থাকে। নারী পুরুষ উভয়কে নিয়ে পরিবার। উভয়ের সহযোগিতায় সুন্দর হোক পরিবার। মধুর হোক পারস্পরিক সম্পর্কগুলো।