নারী! তুমি সব সম্পর্কের ওপরে মা

সুব্রত কুমার নাথ | শনিবার , ১১ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৬:২১ পূর্বাহ্ণ

বিধাতার অপরূপ সৃষ্টি নারী। যার মধ্যে মমতা, নম্রতা, কোমলতা, সহনশীলতা ও সংবেদনশীলতা থাকে, সেইতো নারী। নারী যুগে যুগে কোনো না কোনো পুরুষের মা, যার অকুণ্ঠ ভালোবাসাায় অবোধ সন্তানেরা সভ্যতার পথে হাঁটতে শেখে। নারী কোনো না কোনো পুরুষের বোন, যার স্নেহ ভালোবাসায় তার দুরন্ত শৈশব ও কৈশোর কাটে। নারী কোনো না কোনো পুরুষের সহধর্মিণী, যার প্রেমময়ী চোখে চোখ রেখে তার জীবনের সব যন্ত্রণা দূর হয়ে যায়, যার লাবণ্যময়ী হাসিতে তার কর্মে নব উদ্যম সৃষ্টি হয়। আবার নারী কোনো না কোনো পুরুষের কন্যা, যার উৎসুক ও প্রফুল্ল প্রাণের ছোঁয়ায় স্বপ্নেরা রং ছড়ায়। নারীরা যেভাবেই প্রকাশিত হোক, তাদের ভালোবাসার ছোঁয়ায় সবাইকে তারা এক সবুজ স্বপ্নিল ভুবনে নিয়ে যায়। নারীর শৈল্পিক মননের স্পর্শে পুরুষের মধ্যে মানবতা ও সৌন্দর্যবোধ সৃষ্টি হয়। ফলে, নারীর সান্নিধ্যে প্রতিটি সংসার শান্তির এক সুধাময় ঠিকানা খুঁজে পায়। নারীরা শুধু গৃহকর্মে নিপুণা নয় দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নেও এরা অনেক বেশি এগিয়ে। ঘরে বাইরে তারা অত্যন্ত সহনশীল আচরণের দ্বারা অসম্ভব কাজও সহজে মিটাতে পারে। নারীরা নিজেদের আরাম আয়েশ তুচ্ছজ্ঞান করে পরম মমতা ও ভালোবাসা দিয়ে যেমন সমস্ত সংসারকে রক্ষা করে। তদ্রুপ, কর্মক্ষেত্রেও নারীরা মাতৃসুলভ শান্ত ও সহনশীল আচরণের মধ্য দিয়ে সামগ্রিক উন্নয়নকে তরান্বিত করতে অসামান্য ভূমিকা রাখে। তাই বলি, নারী! তুমি তুমি অনন্যা, তুমি সব সম্পর্কের ওপরে মা। প্রতিটি পুরুষের তাই আমৃত্যু নারীর প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ও সম্মান প্রদর্শন করা উচিত।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকুক ব্যবসা মুক্ত
পরবর্তী নিবন্ধআজ আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস