নারীর কোনো সহজাত অযোগ্যতা নেই

ফারহানা সুমি | বৃহস্পতিবার , ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ৫:৩৭ পূর্বাহ্ণ

হুমায়ুন আজাদ স্যার বলেছেন, ‘নারীকে শিক্ষা থেকে দূরে সরিয়ে রেখে বলা যায় না নারী অশিক্ষিত; তাকে বিজ্ঞান থেকে বহিষ্কার করে বলা যায় না নারী বিজ্ঞানের অনুপযুক্ত। তাকে শাসনকার্য থেকে নির্বাসিত করে বলা যায় না নারী শাসনের যোগ্যতাহীন। নারীর কোনো সহজাত অযোগ্যতা নেই, তার সমস্ত অযোগ্যতাই পরিস্থিতিগত, যা পুরুষের সৃষ্টি বা সুপরিকল্পিত এক রাজনীতিক ষড়যন্ত্র’। বেশ কিছু বছরের মধ্যে শিক্ষা নারীর মধ্যে আমূল পরিবর্তন এনেছে, শিক্ষা নারীকে স্বনির্ভর করেছে, করেছে আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন। যতোদিন যাচ্ছে মেয়েরা নিযার্তনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হচ্ছে। এটাই খুব স্বাভাবিক। তবে যেটা অস্বাভাবিক, সেটা হল, পুরুষ শিক্ষিত হচ্ছে, পুরুষ স্বনির্ভর হচ্ছে, কিন্তু ‘পুরুষ সচেতন হচ্ছে না’ শিক্ষা নারীকে স্বনির্ভর করেছে, তাই বাড়ছে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সচেতনতা, বাড়ছে ডিভোর্স এর সংখ্যা, বেড়েছে সহিংসতা। কারণ অধিকার সচেতন নারী পুরুষ মেনে নিতে পারে না। নারীর প্রতি সহিংসতা নতুন নতুন মাত্রা যোগ হচ্ছে। এই সবকিছুর জন্য আবার নারীকেই দায়ী করছে সমাজ। নারীকে দায়ী করার এই মানসিকতার পেছনে প্রচলিত পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতাই কাজ করে। সমাজের এই জায়গায়টা এখন সংস্কার খুব জরুরি।
আমি যদি না বদলাই পৃথিবী বদলাবে না, আমি-পরিবার এ সব নিয়েই পৃথিবী। যদি ঘরে বাস করা ব্যক্তি না বদলায়, তাহলে ঘরও বদলাবে না। এই ঘর পুরুষতান্ত্রিক। আমরা এখানে যারা আছি, আমরাই এই ঘর বানিয়েছি। তাই ঘর সংস্কার দায়িত্ব এখন আমাদের। নইলে আমরা সবাই এই অভিযোগে অভিযুক্ত হবো।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমানুষরূপী উইপোকা
পরবর্তী নিবন্ধইতিহাসের ভাণ্ডার সমৃদ্ধ করছে শেখ হাসিনার গ্রন্থমালা