নাফ নদী সাঁতরে আসা হাতিটি এখনও উদ্ধার হয়নি

| বুধবার , ৫ জুলাই, ২০২৩ at ৮:১১ পূর্বাহ্ণ

মিয়ানমার থেকে নাফ নদী সাঁতরে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপে আসা হাতির শাবকটিকে উদ্ধার করে এখনও বনাঞ্চলে ফেরানো সম্ভব হয়নি। ঘোলারচরে অবস্থান করা শাবকটিকে উদ্ধার করতে বন বিভাগ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিমের পাঁচ সদস্য কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার দক্ষিণ উপকূলীয় বন বিভাগের টেকনাফ রেঞ্জ কর্মকর্তা বশির আহমদ খান। খবর বিডিনিউজের।

বন বিভাগ জানিয়েছে, কয়েক বছর ধরেই মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে থেকে নাফ নদী সাঁতরে হাতি বা হাতির পালের টেকনাফে আসার ঘটনা ঘটছে। এবারও শাবকটি সেখান থেকেই এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দিনভর শাবকটি কখনও ঝাউবাগানের ভেতর, আবার কখনও নাফ নদীর তীরে দৌড়াদৌড়ি করেছে।

রেঞ্জ কর্মকর্তা বশির আহমদ খান বলেন, মিয়ানমারে ভারী বৃষ্টির কারণে পাহাড়ি ঢল সৃষ্টি হওয়ায় দলছুট হয়ে বা খাদ্যের সন্ধানে শাবকটি লোকালয়ে নেমে এসেছে বলে ধারণা করছি। পরে পথ হারিয়ে সাঁতরে নাফ নদী পেরিয়ে বাংলাদেশে চলে এসেছে এটি। শাবকটির উচ্চতা ৭ ফুটের মত।

সোমবার সকাল ৮টার দিকে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহ পরীর দ্বীপের ঘোলারচর এলাকার ঝাউবাগানের পূর্ব পাশে হাতিটি দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। হাতি শাবকটি ঘোলারচর এলাকায় ছোটাছুটি ও দৌড়াদৌড়ি করছিল।

বশির আহমদ খান বলেন, খবর পেয়ে বন বিভাগের ১০১২ জন এবং স্থানীয় লোকজন হাতি শাবকটিকে উদ্ধার করে নিরাপদে টেকনাফের বনাঞ্চল ফেরানোর চেষ্টা করছেন। তবে শাবকটি যেখানে আশ্রয় নিয়েছে, সেটি ঝোপজঙ্গলপূর্ণ এলাকা, সেখানে ঝাউগাছগুলো ১০ থেকে ১২ ফুট উচ্চতার হওয়ায় শাবকটির অবস্থান শনাক্ত করতে সমস্যা হচ্ছে। হাতি শাবকটি দেখতে স্থানীয়রা ওই এলাকায় ভিড় করছেন বলে জানান সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবদুস সালাম। তিনি বলেন, ভিড়ের কারণে যে বন বিভাগের উদ্ধার কার্যক্রম ব্যহত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপুলিশের অভিযানে আটক ছয় জুয়াড়ি
পরবর্তী নিবন্ধজগৎপুর অনাথ আশ্রমে বৈদিক ৯২ ব্যাচের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন