নাইক্ষ্যংছড়িতে পাহাড় ধসের শঙ্কা

নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি | শনিবার , ১৮ জুন, ২০২২ at ১২:০২ অপরাহ্ণ

বান্দরবানে গত তিন দিন ধরে ভারী বর্ষণের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পাহাড়। যেকোনো সময় পাহাড় ধসে ঘটতে পারে ব্যাপক প্রাণহানি। মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে আতঙ্কে দিন পার করছেন উপজেলার বিভিন্ন পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরত কয়েক হাজার বাসিন্দা।

স্থানীয়রা জানান, প্রতি বছরই শুষ্ক মৌসুমে পাহাড় কেটে পাদদেশে নতুন বসত বাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে। পাহাড়ি জমির মূল্য সমতল জমির তুলনায় কম হওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষ পাহাড় কেটে যেখানে সেখানে বসতি নির্মাণ করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করে। আর বর্ষা মৌসুমে এসব এলাকায় পাহাড় ধসে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটে। জানা যায়, গত বছরর তুলনায় ঝুঁকিপূণ এলাকা ও পরিবারের সংখ্যা আরও অনেক বেড়ে গেছে। শুষ্ক মৌসুমে উন্নয়নের নামে পাহাড় কেঁটে সেই মাটি দিয়ে বিভিন্ন এলাকার সড়কে সৃষ্ট গর্ত ভরাট, নতুন সড়কে মাটি দেওয়াসহ নানা কাজ করা হয়। এছাড়াও অপরিকল্পিতভাবে পাহাড় কেটে বসত বাড়ি নির্মাণ করছে অনেকে।

মনোয়ারা নামের একজন বলেন, সরকার আমাদের নিরাপদে থাকার জন্য আশ্রয়ের ব্যবস্থা করলে আমরা ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের পাদদেশে থাকতাম না। বর্তমানে আমরা অনেকটা বাধ্য হয়েই এখানে বসবাস করছি।

বান্দরবানের মৃত্তিকা ও পানি সংরক্ষণ কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. মাহাবুবুল ইসলাম জানান, বেশি বেশি পাহাড় কাটলে পাহাড়ের উপরের আস্তর সরে গিয়ে ভিতরের নরম অংশ বেরিয়ে আসে। আর এর ফলে ভূমি ক্ষয়ের মাধ্যমে পাহাড়ে ফাটল তৈরি হয় এবং এর ফলেই বর্ষার ভারী বর্ষণে ভূমি ধস হয়।
বান্দরবান জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কায়েসুর রহমান বলেন, বান্দরবানে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। তাই পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে পাদদেশে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে ইতোমধ্যে প্রতিটি উপজেলার উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিভিন্ন স্কুলে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা
পরবর্তী নিবন্ধবোধনের জাগো সুন্দর অনুষ্ঠান