পটিয়ায় নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে একসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম দিলেন কহিনুর আকতার (২৫) নামের এক প্রবাসীর স্ত্রী। গত শুক্রবার পটিয়া জেনারেল হাসপাতালের গাইনি কনসালটেন্ট ডা. সাথী ধরের তত্ত্বাবধানে এ তিন সন্তানের জন্ম হয়। তার সঙ্গে হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. ইরতিফা ইসলাম ও স্টাফ নার্সসহ সংশ্লিষ্টদের যৌথ প্রচেষ্টায় এ প্রবাসীর স্ত্রী দুই ছেলে ও এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন।
গৃহবধূ কহিনুর আকতার উপজেলার খরনা ইউনিয়নের ওয়াহিদুর পাড়া গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী মো. আবুর স্ত্রী। তাদের ৭ বছর বয়সী আরো একটি কন্যা সন্তান রয়েছে বলে জানা যায়। দ্বিতীয়বার প্রবাসীর এ পরিবারের তিন সন্তানের জন্ম নেওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে নবজাতক তিন শিশু ও মাকে এক নজর দেখার জন্য হাসপাতালে ভিড় জমান তার পরিবার পরিজন ও স্বজনরা। তবে সদ্য ভূমিষ্ঠ তিন সন্তানের মধ্যে একজন বেশ অসুস্থ বলে জানান চিকিৎসকরা। তিন নবজাতকের সুস্থতায় ও চিকিৎসায় নিরলসভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্তৃপক্ষ। পটিয়া জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে সন্তানসম্ভবা গৃহবধূ কহিনুর আকতার হাসপাতালে ভর্তি হন। এর কিছুক্ষণ পর তার প্রসববেদনা শুরু হলে চিকিৎসকরা তাকে ডেলিভারি রুমে নিয়ে যান। সেখানেই নরমাল ডেলিভারিতে তার ফুটফুটে তিন সন্তানের জন্ম হয়।
হাসপাতালের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. হুমায়ুন রশীদ বলেন, হাসপাতালে গাইনি কনসালটেন্ট ডা. সাথী ধরের তত্ত্বাবধানে থাকা কহিনুর আকতার নামের এক প্রবাসীর স্ত্রী একসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম হয়েছে। যেখানে চট্টগ্রাম শহরেও একসাথে তিন নবজাতকের জন্মদানে সিজারের প্রয়োজন হয়, এ অবস্থায় এখানে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে একসাথে তিন নবজাতকের জন্ম হওয়া পটিয়াবাসীর জন্য খুবই একটা ভালো খবর। তিনি আরো জানান, নবজাতক ও মা সুস্থ আছেন। তাদের জন্য আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করেছি। যাবতীয় চিকিৎসাসেবা দিয়ে শনিবার বিকেলে হাসপাতাল থেকে তাদের রিলিজ দেয়া হয়। এর মধ্যে এক নবজাতকের ওজন কম থাকায় তাকে নগরীর এক শিশু বিশেজ্ঞের চেম্বারে নিয়ে যাওয়া হয় বলেও তিনি জানান।