নবজাতকটি যেভাবে দেখল পৃথিবীর আলো

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ২৫ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৪:৪৬ পূর্বাহ্ণ

নগরের জামালখানে ফুটপাতে একটি ছেলে সন্তান প্রসব করেছেন মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারী। জাতীয় জরুরি নম্বর ৯৯৯এ খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পথচারীর সহযোগিতায় ওই নারী ও নবজাতককে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়। গত সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। শিশুটির ওজন কম থাকায় তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা হয়েছে।

সিএমপির কোতোয়ালী নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালী জোন) অতনু চক্রবর্তী সাংবাদিকদের বলেন, মানসিক ভারসাম্যহীন অন্তঃসত্ত্বা ওই নারীকে চিৎকার করতে দেখে এক পথচারী জাতীয় জরুরি সেবার নম্বরে ফোন করে। খবর পেয়েই কোতোয়ালী থানার এসআই মো. মোস্তফা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। পরিস্থিতি দেখে তিনি কাছের বেসরকারি একটি হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসক ও নার্স ডেকে এনে সন্তান প্রসবের ব্যবস্থা করেন।

প্রসবের সময় প্রসূতির শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় মা ও ছেলেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে পাঠানো হয়। মায়ের জন্য রক্তও যোগাড় করা হয়।

ঘটনার পর পর প্রত্যক্ষদর্শী রুবেল আহমেদ বাবু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করে লেখনে, জামালখান বীর চট্টলা রেস্টুরেন্টে একটি দাওয়াত শেষ করে বের হতেই দেখি মানুষের জটলা। খোঁজ নিয়ে জানলাম ভবঘুরে মানসিক প্রতিবন্ধী একজন মহিলা রাস্তার একপাশে প্রসব বেদনায় ছটফট করছে। কিছু ২২/২৩ বছরের ছেলেদের সহযোগিতায় পাশে অবস্থিত হাসপাতালের ডাক্তারনার্সদের সহযোগিতায় রাস্তার এক কোণেই একটি ছেলে সন্তান ভূমিষ্ট হয়। ৯৯৯ ফোন করার পর ৫ মিনিটের মধ্যেই কোতোয়ালী থানা ও চকবাজার থানার পুলিশ এসে হাজির এবং সহযোগিতা করে। হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সে করে চট্টগ্রাম মেডিকেল পাঠানো হলো। তিনি তার পোস্টে উল্লেখ করেন, নার্স এবং রাস্তার এক পথচারী ভদ্রমহিলার ভূমিকা ও ছিলো চোখে পড়ার মতো। এখনো ভালো মানুষ আছে। আর ঘৃণা জন্মেছে ঐ নরপিশাচের উপর। তার বিচার আল্লাহ করবে।

কোতোয়ালী থানার এসআই মোস্তফা কামাল সাংবাদিকদের বলেন, রাতে টহলে ছিলেন। থানা থেকে জানানোর পরপরই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাই। সেখানে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলেন ওই নারী। পার্শ্ববর্তী বেসরকারি একটি হাসপাতাল থেকে নার্সদের ডেকে আনা হয়। এর মধ্যে সন্তানটির জন্ম হয়ে যায়। প্রচুর রক্তপাত হওয়ায় ওই নারীকে সন্তানসহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাতে ভর্তি করা হয়। রাতে দুই ব্যাগ রক্ত জোগাড় করে ওই নারীকে দেওয়া হয়েছে। শিশুটির ওজন কম থাকায় তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। মা ও ছেলে দুজনের ওষুধ খরচসহ সবকিছু দেখভাল করা হচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসোনার প্রলেপে গেঞ্জি, প্যান্ট ও আন্ডারওয়্যার তৈরি
পরবর্তী নিবন্ধশুধু প্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণ করুন