নতুন ২ মন্ত্রণালয় গঠনের সুপারিশ হাই কোর্টের

জলাধার সংরক্ষণ

| মঙ্গলবার , ২০ জুলাই, ২০২১ at ৬:৫৩ পূর্বাহ্ণ

নদী, খাল, বিল, হাওরসহ সব জলাভূমি ও জলাধার সংরক্ষণ ও রক্ষায় ‘নবায়নযোগ্য জ্বালানি’ ও ‘জলাভূমি’ নামে দুটি পৃথক মন্ত্রণালয় গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে হাই কোর্টের এক রায়ে। একই সঙ্গে ‘নবায়নযোগ্য জ্বালানি’ ও ‘জলাভূমি রক্ষা, উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা’ বিষয়ে পৃথক আইন প্রণয়নেরও তাগিদ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া রায়ে জলাধার বা জলাভূমি দূষণ বা ক্ষতিগ্রস্ত করে উন্নয়ন প্রকল্প ও শিল্পাঞ্চল বা অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন এবং জলাধারের শ্রেণি পরিবর্তন করা যাবে না বলেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
আবাসন ব্যবসায়ী নূর আলীর ইউনিক প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের ‘সোনারগাঁ রিসোর্ট সিটি ও সোনারগাঁ ইকোনমিক জোনের’ মাটি ভরাট কার্যক্রম অবৈধ ঘোষণা সংক্রান্ত হাই কোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায়ে এসব নির্দেশনা ও সুপারিশ এসেছে।
বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাই কোর্ট বেঞ্চ জনস্বার্থে করা এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর এই রায় দিয়েছিল। রোববার রায়টি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। ১৩২ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়টি লিখেছেন বিচারপতি মো. আমরাফুল কামাল। রায়ের সঙ্গে সহমত প্রকাশ করেছেন বিচারপতি রাজিল আল জলিল। রায়ে সুপারিশের পাশাপাশি কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
আদালত পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলেছে, এই রায়ের অনুলিপি সরাসরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ মনোযোগ আকর্ষণের জন্য পাঠানো হোক, যাতে তিনি তাঁর ব্যক্তিগত উদ্যোগে বাংলাদেশের সব জলাভূমি রক্ষায় জরুরিভিত্তিক পদক্ষেপ নিতে পারেন। আদালতে বেলার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফিদা এম কামাল, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, মিনহাজুল হক চৌধুরী, আলী মুস্তফা খান ও সাঈদ আহমেদ কবীর। সোনারগাঁ ইকোনমিক জোনের পক্ষে রুল শুনানি করেন আইনজীবী মুরাদ রেজা ও আহসানুল করিম। ইউনিক প্রপার্টিজের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আবু তালেব।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ৩০ পয়েন্টের লক্ষ্যপূরণ করতে চায় টাইগাররা
পরবর্তী নিবন্ধরপ্তানি পণ্যবোঝাই কন্টেনার সময়মতো জেটিতে পৌঁছছে না