বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে সারা দেশে আরও বিশটি নতুন মাঠ তৈরি করবে। আর সে সব মাঠের বেলায় ঢাকা এবং চট্টগ্রাম অবশ্যই অগ্রাধিকার পাবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
তিনি বলেন, আমরা মাঠ তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আর মাঠের বেলায় ঢাকা এবং চট্টগ্রাম থাকবে সবার আগে। আমরা এরই মধ্যে জায়গা দেখা শুরু করেছি। আমরা চাইছি ক্রিকেটের জন্য দেশের সব জায়গায় ক্রিকেটের জন্য আলাদা এবং সুন্দর মাঠ থাকুক। আর সে লক্ষ্য নিয়েই আমরা এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি।
বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের সাথে দেখা করতে চট্টগ্রামে এসে আজ শুক্রবার পাপন এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামের ক্রিকেটের উন্নয়নে ক্রিকেট বোর্ড সব সময় চেষ্টা করে যাচ্ছে। আমরা বরাবরই ঢাকার পর চট্টগ্রামকে নিয়ে চিন্তা করি। কারণ চট্টগ্রাম হচ্ছে ক্রিকেটের অন্যতম ঊর্বর ভূমি। দেশে বোর্ডের অধীনে প্রথম একাডেমি হচ্ছে চট্টগ্রামে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক এবং সাবেক অধিনায়ক আকরাম খান এই একাডেমির ব্যাপারে দেখভাল করছেন।
নাজমুল হাসান বলেন, আকরাম খানের নেতৃত্বে যে ক্রিকেট একাডেমি হবে চট্টগ্রামে তা হবে বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্রিকেট একাডেমি। তিনি বলেন এরই মধ্যে এই একাডেমির নানা পরিকল্পনা করা হয়েছে। জায়গাও নির্বাচন করা হয়েছে। শীঘ্রই এই একাডেমির কাজ শুরু করা হবে বলে জানান পাপন।
শুক্রবার সকালে বিসিবি সভাপতি হেলিকপ্টার যোগে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে অবতরণ করেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের মহাসচিব সাহেদ রেজা।
চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহাবুদ্দিন শামীমের নেতৃত্বে সিজেকেএস কর্মকর্তারা তাকে অভ্যর্থনা জানান।
বিসিবি মিডিয়া কমিটির সদস্য সচিব আলহাজ্ব আলি আব্বাসের সার্বিক তত্বাবধানে এসময় উপস্থিত ছিলেন সিজেকেএস সহ সভাপতি দিদারুল আলম চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, মশিউর রহমান চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন জাহাঙ্গীর, ক্রিকেট সম্পাদক আবদুল হান্নান আকবর, নির্বাহি সদস্য জি এম হাসান, নাসির মিয়া, দিদারুল আলম, ক্রিকেট কমিটির যুগ্ম সম্পাদক শওকত হোসাইন।
বিসিবি সভাপতি হোটেল রেডিসনে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের সাথে বৈঠকে মিলিত হন। পরে তিনি কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম ত্যাগ করেন।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হিসেবে যেকোন সিরিজের আগে নাজমুল হাসান পাপন ক্রিকেটারদের সাথে বৈঠকে মিলিত হন। তিনি তার পক্ষ থেকে যেটুকু দরকার পরামর্শ দেন। দলের জন্য শুভকামনা জানান। এবারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। কক্সবাজারে যাওয়ার পথে তিনি ঠিকই ক্রিকেটারদের সাথে মিলিত হয়ে গেলেন। যাতে ক্রিকেটারদের মনোবল কিছুটা হলেও চাঙ্গা থাকে।