নতুন প্রেসিডেন্ট বেছে নেওয়ার প্রক্রিয়ায় শ্রীলঙ্কা

| রবিবার , ১৭ জুলাই, ২০২২ at ৫:৫৮ পূর্বাহ্ণ

শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করতে দেশটির পার্লামেন্টে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে আর সংকটে পড়া দেশটিকে কিছুটা স্বস্তি দিতে একটি জাহাজ জ্বালানির চালান নিয়ে হাজির হয়েছে। প্রথমে মালদ্বীপ ও পরে সিঙ্গাপুরে পালিয়ে যাওয়া প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসের পদত্যাগপত্র গত শুক্রবার পার্লামেন্ট গ্রহণ করেছে। খবর বিডিনিউজের।

জানা যায়, আইনপ্রণেতাদের গতকালের বৈঠককে সামনে রেখে পার্লামেন্টে যাওয়ার রাস্তাজুড়ে অ্যাসল্ট রাইফেলসহ শতাধিক পুলিশ ও নিরাপত্তা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে, যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধ করতে রাস্তাটিতে ব্যরিকেড বসানো হয়েছে এবং জলকামান প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পার্লামেন্টমুখি আরেকটি রাস্তায় নিরাপত্তা বাহিনী টহল দিচ্ছে। তবে কোথাও প্রতিবাদের কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। আইনপ্রণেতারা নির্ধারণ করেছেন, এক সপ্তাহের মধ্যে নতুন একজন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবেন। তার আগে পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বপালন করবেন রাজাপাকসেদের মিত্র রনিল বিক্রমাসিংহে। পার্লামেন্টে তার দলের একমাত্র প্রতিনিধি রনিল ছয়বার দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন।

শুক্রবার ক্ষমতাসীন দল পোদুজানা পেরামুনা (এসএলপিপি) রনিলকে (৭৩) তাদের দলের প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেছে। কিন্তু সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরা তারও পদত্যাগ দাবি করতে থাকায় তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে ফের অস্থিরতা শুরু হওয়ার শঙ্কা আছে। বিরোধীদল তাদের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে সাজিথ প্রেমাদাসাকে (৫৫) মনোনীত করেছে। আর ক্ষমতাসীন দলের জ্যেষ্ঠ আইনপ্রণেতা সাবেক সাংবাদিক দুল্লাস আলাহাপেরুমাকে (৬৩) সম্ভাব্য ‘ডার্ক হর্স’ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে; অপেক্ষাকৃত কম পরিচিত হলেও তিনি সব হিসাবনিকাশ উল্টে দিতে পারেন বলে অনেকের ধারণা।

শনিবার শ্রীলঙ্কা জ্বালানির তিনটি চালানের প্রথমটি বুঝে পেয়েছে বলে দেশটির জ্বালানিমন্ত্রী কাঞ্চনা বীজেসেকেরা জানিয়েছেন। এটি প্রায় তিন সপ্তাহের মধ্যে দেশটিতে পৌঁছানো জ্বালানির প্রথম চালান। শনিবার ডিজেল নিয়ে দ্বিতীয় আরেকটি চালান আর মঙ্গলবার পেট্রল নিয়ে আরেকটি চালান আসার কথা রয়েছে। কাঞ্চনা বীজেসেকেরা এক টুইটে বলেছেন, তিনটিরই মূল্য পুরোপুরি পরিশোধ করা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপোস্তারপাড়ে পুড়ল চারটি দোকান
পরবর্তী নিবন্ধশ্রীলঙ্কার মতো অবস্থা হতে পারে আরও এক ডজন দেশের