গত বছরের ২৮ মে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগ, ২৯ মে উত্তর জেলা যুবলীগ এবং ৩০ মে চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের ৬ মাস পর গত বছরের ১৬ নভেম্বর দিদারুল ইসলামকে সভাপতি ও জহুরুল ইসলাম জহুরকে সাধারণ সম্পাদক করে দক্ষিণ জেলা যুবলীগের ৩৫ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয় কেন্দ্র থেকে। অপরদিকে সম্মেলনের প্রায় ৮ মাস পর গত ৭ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের ৩২ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটিতে গত কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও হাটহাজারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম রাশেদুল আলমকে সভাপতি ও সীতাকুন্ড উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো. শাহজাহানকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। একই সময় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলেও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট মহানগর যুবলীগের কমিটি এখনো ঘোষণা করা হয়নি। তবে কবে নাগাদ কমিটি ঘোষণা হবে তা নিয়ে দিনের পর দিন অপেক্ষার প্রহর গুণছেন পদ প্রত্যাশীরা।
কেন্দ্রীয় যুবলীগের শীর্ষ পর্যায়ের এক নেতা আজাদীকে বলেন, মহানগর যুবলীগের সভাপতি–সাধারণ সম্পাদকের দুই পদ নিয়ে শীর্ষ পর্যায়ের নানান তদবিরের কারণে কেন্দ্রীয় নেতারা শেষ মুহূর্তে এসে নানানমুখী চাপে পড়েছেন। বিশেষ করে অন্যান্য পদের চেয়ে শীর্ষ দুই পদ (সভাপতি–সাধারণ সম্পাদক) নিয়ে বেশ চাপে আছেন তারা। মন্ত্রী–এমপি থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের নানানমুখী প্রভাব–তদবির কাজ করছে এই দুই পদের জন্য। আগে যাদের নাম কেন্দ্রীয় নেতাদের বিবেচনায় ছিল এখন সেই অবস্থান থেকে অনেকটা সরে আসছেন তারা। তবে শেষ পর্যন্ত কবে নাগাদ নগর যুবলীগের কমিটি ঘোষণা করা হবে তা এখনো নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না কেউ। কেন্দ্রের এক শীর্ষ নেতা আজাদীকে জানান, নগর যুবলীগের আংশিক কমিটি গঠন প্রায় শেষ হয়েছে। যেকোনো সময় ঘোষণা করা হতে পারে।
চট্টগ্রামে শীর্ষ মহলের সুপারিশে নগর যুবলীগের সভাপতি–সাধারণ সম্পাদক পদে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন নগর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুল হক সুমন, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক দিদারুল আলম দিদার, সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য দেবাশীষ পাল দেবু, নগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এম আর আজিম, ওমরগণি এমইএস কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস আরশেদুল আলম বাচ্চু, নগর ছাত্রলীগের স্টিয়ারিং কমিটির সাবেক সদস্য দিদারুল আলম দিদার, বিজিএমইএর প্রথম সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, নগর যুবলীগের সাবেক সদস্য আসিফ মাহমুদ এবং নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন।
এদিকে নগর যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য চেষ্টা–তদবিরে আরো যারা আছেন তারা হলেন– নগর যুবলীগের সাবেক সদস্য মো. হেলাল উদ্দিন, নগর যুবলীগের সাবেক সদস্য নুরুল আনোয়ার, নগর যুবলীগের সাবেক সদস্য সুরজিৎ বড়ুয়া লাবু, সনৎ বড়ুয়া, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এইচ এম ফজলে রাব্বী সুজন, ওয়াহিদুল আলম শিমুল, সুমন দেবনাথ, এ এম শহীদুল কাওসার, শেখ নাছের আহমদ, জাবেদুল আলম সুমন, ইঞ্জিনিয়ার আবু মো. মহিউদ্দিন, নুরুল আজিম রণি প্রমুখ। তবে কার হাতে নগর যুবলীগের দায়িত্ব তুলে দেয়া হচ্ছে তা নিয়ে প্রতিদিন নগর রাজনীতিতে চলছে নানান আলোচনা।