নগরীর যাতায়াত ব্যবস্থায় গতি আনতে মনোরেল চালুর প্রস্তাব নিয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে চায়না প্রতিষ্ঠান উইহায় ইন্টারন্যাশনাল ইকোনোমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেটিভ কোম্পানি লিমিটেড ও চায়না রেলওয়ে কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের একটি টিম। গতকাল বুধবার দুপুরে নগরীর টাইগার পাসস্থ কর্পোরেশনের অস্থায়ী নগর ভবন কার্যালয়ে এ সাক্ষাত অনুষ্ঠিত হয়। চসিক মেয়র ও চায়না কোম্পানি উইহায় এর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে আসে। আলাপকালে মেয়র মনোরেল চালু করতে কতদিন সময় লাগতে পারে, আর্থিক ব্যয়ের পরিমাণ, অর্থের সংস্থান, মেট্রোরেল ও মনোরেলের মধ্যে পার্থক্যের বিষয় জানতে চান। মেয়রের আগ্রহের জবাবে চায়না উইহায় কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, মনোরেল হলো আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন রেল ব্যবস্থা। এর ব্যয় ও ব্যবস্থাপনা চায়না সহায়তায় হবে। মনোরেলের ক্ষেত্রে মেট্রোরেলের চেয়ে ৪০ শতাংশ অর্থের সাশ্রয় হবে। এর জন্য ব্যাপক জায়গার প্রয়োজন হয় না এবং স্থাপনার মধ্যেও লাইনটি চালু করা যায়। অন্যদিকে দুই-আড়াই বছরের মধ্যে মনোরেল স্থাপন করে চালু করা সম্ভব। মেয়র তাদের প্রস্তাবনা শুনেন এবং তা লিখিত আকারে বিস্তারিত তথ্য জমা দেয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ইতোপূর্বে নগরীতে মেট্রোরেলের প্রস্তাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং নগরীর এ কে খান থেকে কর্ণফুলী ব্রিজ, কালুরঘাট থেকে শাহ আমানত বিমান বন্দর, অক্সিজেন থেকে বিমান বন্দর, লালখান বাজার থেকে বিমান বন্দর এই চারটি রুটের উপর জরিপ ও পর্যবেক্ষণ করে সম্ভাব্যতা যাচাই সম্পন্ন করা হয়েছে। এই দুটি প্রস্তাবনার উপর যাচাই-বাছাই করে জনসংখ্যার ঘনত্ব, সময় ও আর্থিক সাশ্রয় বিবেচনা ও যাতায়ত ব্যবস্থাকে টেকসই করতে মনোরেল চালু করলে ভালো হয় তবে তা অবশ্যই করা হবে।
এ সময় উইহায় ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেটিভ কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লি মেং, চায়না রেলওয়ে কোম্পানির মি. এরিখ, কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দীন, কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, মো. আব্দুল মান্নান, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) রফিকুল ইসলাম মানিক, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাদাত মো. তৈয়ব, আশিকুল ইসলাম, সহকারী স্থপতি আব্দুল্লাহ ওমর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।