নগরের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে এখনো ঈদের আমেজ

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ১৬ জুলাই, ২০২২ at ৬:৪০ পূর্বাহ্ণ

নগরীতে ঈদুল আজহার রেশ কাটেনি এখনও। গতকাল ঈদের ৬ষ্ঠ দিনেও বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে চোখে পড়ার মতো ভিড় দেখা গেছে। বিশেষ করে পতেঙ্গা সীবিচ, নেভাল, ফয়েস লেক, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা, কাজীর দেউড়ি শিশু পার্ক, সিআরবিতে এখনো দেখা যাচ্ছে ঈদের আমেজ।
গতকাল শুক্রবার থাকায় প্রধান প্রধান বিনোদন কেন্দ্রগুলোর পাশাপাশি অন্যান্য বিনোদন কেন্দ্রগুলোতেও পরিবার পরিজন নিয়ে আনন্দে মেতেছিলেন দর্শনার্থীরা। বিনোদন কেন্দ্র সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদের ছুটি শেষে নগরে ফিরেছে অসংখ্য মানুষ। এর মধ্যে আজ (গতকাল) শুক্রবার হওয়ায় ভিড় একটু বেশি।
বিশ্বব্যাপী দাপিয়ে বেড়ানো করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে গত দু্‌ই বছর ঈদ আনন্দ উপভোগই করতে পারেনি নগরবাসী। চলতি বছর পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে বিনোদন প্রেমিদের মাঝে। ঈদুল ফিতরের মতো এবার ঈদুল আযহার ছুটিতেও বিনোদন কেন্দ্রে গিয়ে ও অন্যান্যভাবে আনন্দ উপভোগ করেন। যান্ত্রিক জীবনের গ্লানি মুছে পরিবার, নিকটাত্মীয়, বন্ধুবান্ধব নিয়ে এ উপভোগে সমানে ছিল নারী-পুরুষের উপস্থিতি। গতকাল নগরীর বিনোদন কেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখা গেছে, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা, ফয়েস লেক কনকর্ড অ্যামিউজমেন্ট ওয়ার্ল্ড, কাজীর দেউড়ি শিশু পার্ক, বহদ্দারহাট স্বাধীনতা কমপ্লেক্স, আগ্রাবাদ শিশু পার্ক, আগ্রাবাদ জাম্বুরি পার্ক, মেহেদিবাগ ওয়ার সিমেট্রি এবং পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে মানুষ আর মানুষ। ছোট ছোট শিশু থেকে শুরু করে তরুণ-তরুণী এমনকি বয়স্করাও এসব স্পটে খুঁজছেন একটু স্বস্তি, একটু আনন্দ। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ঈদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে মানুষের ভিড় ছিল মোটামোটি। এর মধ্যে যারা নগর ছেড়ে গিয়েছিলেন তারা ফিরেছেন। যার কারণে কয়েকদিন ধরে ভিড়টা বেশিই দেখা যাচ্ছে।
তবে আগের দুদিনের তুলনায় গতকাল তুলনামূলকভাবে দর্শনার্থীর সংখ্যা অনেকটা বেশিই ছিল। গতকাল বিকালে কাজির দেউড়ির শিশু পার্কে দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে ঘুরতে আসা দর্শনার্থী সেলিম রহমান বলেন, ঈদে পরিবারসহ গ্রামের বাড়ি ছিলাম। সন্তানদের নিয়ে তেমন কোথাও যাওয়া হয়নি। এখন ফিরে এসেছি। তাই সন্তানদের নিয়ে একটু ঘুরতে আসলাম। সন্তানরা অনেক খুশি। এখানকার পরিবেশও অনেক ভালো। আমি নিজেও অনেক উপভোগ করেছি। সেলিম রহমানের ৮ বছর বয়সী শিশু তামিমা বলেন, ভাইসহ আমরা অনেক মজা করেছি। রাইডে চড়েছি। অনেক মজার মজার খাবারও খেয়েছি। নেভালে ঘুরতে আসা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তরুণী সায়মা নূর বলেন, আমি সুযোগ পেলেই নগরীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে চলে যায়। কখনো পরিবার আবার কখনো বন্ধুবান্ধব। এর মধ্যে নেভাল অন্যতম। এখান থেকে নদী, এমনকি সমুদ্রও দেখা যায়। নদীর অপরপাশের অপূর্ব সৌন্দর্যও উপভোগ করা যায়। সবমিলে অন্যরকম একটা আনন্দ পায়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে প্রথম ফিরতি হজ ফ্লাইট ২০ জুলাই
পরবর্তী নিবন্ধপুকুরে ডুবে দুই বোনের মৃত্যু