প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চট্টগ্রাম আগমনের প্রচারণায় অভিনব কৌশল গ্রহণ করেছেন বন্দর-পতেঙ্গা আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য এম এ লতিফ।
বন্দর পতেঙ্গা এলাকায় অভাবী মানুষকে তিনি বিনে পয়সায় ২ কেজি চাল ১ কেজি আলু এবং ১০ ডিম প্রদান করেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর আগামীকালের জনসমাবেশকে ঘিরে চট্টগ্রামের মন্ত্রী এমপিসহ রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের ব্যানার পোস্টারে নগরী ঢেকে গেলেও এমপি লতিফ একেবারে ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করেছেন।
নগরীর কোথাও নিজের নাম বা ছবি দিয়ে একটিও ব্যানার পোস্টার না করলেও গতকাল সকাল থেকে তিনি বিনে পয়সায় ভোগ্যপণ্য প্রদান শুরু করেছেন। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ভর্তুকি মূল্যে ভোগ্যপণ্য ও তৈরী খাবার বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালনা করে আলোচিত এবং প্রশংসিত এম এ লতিফ এবারে একেবারে অভিনব পন্থায় প্রচারণা শুরু করেছেন।
গত বেশ কয়েক বছরে সাধারণ মানুষের কাছে ভোগ্যপণ্য পৌঁছে দেয়ার শক্তিশালী একটি সিস্টেম গড়ে তুলেছেন এম এ লতিফ।
প্রথমবার নির্বাচিত হওয়ার পর ২০০৯ সাল থেকে তিনি নিজের সংসদীয় এলাকায় সাশ্রয়ী মূল্যে ভোগ্যপণ্য বিক্রি শুরু করেন। বন্দর পতেঙ্গা এলাকার ১০ টি ওয়ার্ডে ১০ টি ট্রাক বোঝাই করে টিসিবি স্টাইলে সাধারণ মানুষের কাছে পণ্য পৌঁছান বিক্রি তিনি।
প্রথমদিকে প্রতি কেজি চাল ১০ টাকা, আলু ৫ টাকা, লবন ৫ টাকা, চিনি ৩০ টাকা, মসুর ডাল ৪০ টাকা দিয়ে শুরু করেন। বর্তমানে প্রতি কেজি সিদ্ধ চাল ২৫ টাকা আতপ চাল ৩০ টাকা আলু ১০ টাকা লবন ১০ টাকা চিনি ৫০ টাকা তরল দুধ ৫০ টাকা ডিম ৫, টমেটো ও সবজি ৫ টাকায় বিক্রয় কার্যক্রম চলছে। মাহে রমযানে এ সমস্ত পণ্যের সাথে ছোলা, সয়াবিন তেল, কোরবানীর ঈদের সময় পিয়াজ, রসুন, আদা বাজার মূল্যের অর্ধেকে বিক্রি করতেন।
২০০৯ সাল থেকে শুরু হওয়া ভর্তুকি মূল্যের পাশাপাশি ২০১৮ সাল থেকে এমপি’স কিচেন নামের এক কর্মসূচির আওতায় তিনি সাধারণ মানুষের জন্য রান্না করা খাবারের ব্যবস্থা করেন।
১৫/২০ টাকার মধ্যে দুপুর এবং রাতের খাবার বিক্রি করা হয় এমপিস কিচেনে। সাধারণ মানুষের কাছাকাছি যাওয়ার যে সুবিশাল নেটওয়ার্ক তিনি গড়ে তুলেছেন তা দিয়ে গতকাল নিজের সংসদীয় আসনের বিভিন্ন এলাকায় মাগনায় চাল আলু এবং ডিম বিতরণ করে প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশের অভিনব প্রচারণা চালিয়েছেন।