এক জমিতে নানা ফসল

মীরসরাইয়ে চাষে বৈচিত্র্য, বেড়েছে উৎপাদনও

মীরসরাই প্রতিনিধি | শনিবার , ৩ ডিসেম্বর, ২০২২ at ৮:১১ পূর্বাহ্ণ

মীরসরাইয়ে সবজি চাষের ঐতিহ্য রয়েছে। এখন একই জমিতে নানা ফসলের চাষ হচ্ছে। এতে উৎপাদনও বৃদ্ধি পেয়েছে। মীরসরাই উপজেলা কৃষি বিভাগের অভিমত কৃষকরাই পারবে সকল অর্থনৈতিক প্রতিকূলতা কাটিয়ে দিতে এই উপজেলার বিভিন্ন কৃষি আবাদি জনপদে এক সঙ্গে তিন ফসল আবাদ করতে। পাশাপাশি একই জমিতে নানা ফসলের পাশাপাশি জমির আলে এক প্রকার, মাঝে মাঝে ভিন্নতা সৃষ্টিসহ বৈচিত্র্যময় ফলনে আগ্রহ বাড়তে দেখা যাচ্ছে কৃষকদের মধ্যে। এতে যেমন আলোড়ন সৃষ্টি করেছে কৃষি উৎপাদনে তেমনি জমির ফলনও আশানুরুপ দেখা যাচ্ছে।

 

উপজেলার খৈয়াছরা ইউনিয়নের আমবাড়িয়া গ্রামে সরেজমিনে পরিদর্শন কালে কৃষক ইমাম হোসেন ( ৫৬), কৃষক হারাধন ( ৫২) কে ব্যস্ত দেখা যায় গ্রামের তেপান্তরে। কৃষক ইমাম হোসেন ফুলকপির চারায় জৈবসার দিচ্ছেন। হারাধন মরিচ ক্ষেতে পানি দিচ্ছেন। দেখা গেছে একই জমিতে লালশাক, ফাঁকে মরিচের চারায় ফুল, আবার সরিষার ডগা বাড়ছে। আবার এক পাশে মরিচের চারা অন্যপাশে ফুলকপি, বাঁধা কপি, মাঝখানের আলে সারি সারি পেপে গাছে শোভা পাচ্ছে সুন্দর ফলন। অপর পাশেই আবার লাউয়ের মাচায় অনেক লাউ যেন ভিন্ন রকম প্রকৃতির অনন্য সুন্দর নির্মলতা।

কৃষকরা এখানে যে প্রকৃতিকে সুন্দর করে নিজেদের মনের মাধুরি দিয়ে সাজিয়েছেন তা নয় এখানেই তাদের স্বচ্ছলতা আর স্বনির্ভরতার দৃশ্যপট। পোলমোগরা গ্রামের কৃষক ধনমিয়া ও লাল শাক, ধনিয়া পাতা, মরিচ একই জমিতে আবাদ করে বেশ লাভ হচ্ছে বলে জানাল। আমবাড়িয়ার কৃষক জাহাঙ্গীর মিয়া (৪৮) বললেন এবার ৪ গণ্ডা জমিতে মিঙ সবজি চাষে ১০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। আশা করছে খরচ উঠে ৫০ হাজার টাকা লাভবান হবেন।

তালবাড়িয়া গ্রামের কৃষাণি রাজিয়া খাতুন বলেন, আমরা দুপুর ১২টা থেকে সন্ধা পর্যন্ত এক বেলা লাল শাক তুলে দিলে মালিক ২০০ টাকা দেয়। বাড়িতে বসেই থাকি সে জন্য বাড়তি আযের জন্য এই লাল শাক তুলছি জমি থেকে। আমার স্বামী নিজের জমিতে চাষ করলে। বাড়তি আয়ে পরিবারের সন্তানদের পড়ালেখায় ব্যয় করি। ঘরের পাশে আমার খালি জায়গাতে লাউ, সিম লাগিয়েছি। ৫ হাজার টাকার লাউ আমি ও বিক্রি করেছি এবার।

মীরসরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রঘুনাথ নাহা বলেন, এই উপজেলায় সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী কৃষকদের পাশাপাশি সকল সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন পর্যায়ে পতিত সকল জমি আমরা কাজে লাগানো শুরু করেছি। জমিগুলোতে ফলন বৃদ্ধি একসাথে একাধিক সবজিসহ নানা ফলফলাদি ও ফলন শুরু করেছে চাষীরা। জমিতে সঠিক পরিচর্চা করে চাষীরা বেশ লাভবান হচ্ছে। কৃষিতে স্বনির্ভরতা আসলে আমরা সকল প্রকার অর্থনৈতিক প্রতিকূলতা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবো বলে আশা করছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনগরীতে বিনামূল্যে চাল, আলু ও ডিম বিতরণ
পরবর্তী নিবন্ধভারত সিরিজে বাংলাদেশের অধিনায়ক লিটন দাস