নগরীর ১৮ খালে ৩৬ বাঁধ

অপসারণে সিডিএকে চিঠি চসিকের

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ২৯ মে, ২০২২ at ৭:৫৩ পূর্বাহ্ণ

নগরীর উত্তর মধ্যম হালিশহর, উত্তর হালিশহর এবং দক্ষিণ কাট্টলীসহ আশেপাশের এলাকার পানি নিষ্কাশনে গুরুত্বপূর্ণ মহেশখাল। বর্ষা ঘনিয়ে এলেও এ খালের বিভিন্ন স্পটে দেয়া পাঁচটি বাঁধ অপসারণ করা হয়নি। জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান মেগা প্রকল্পের কাজের সুবিধার্থে এসব বাঁধ দেয়া হয়। দ্রুত বাঁধগুলো অপসারণ করা না হলে ভারী বৃষ্টি হলে খালটির উপর নির্ভরশীল এলাকায় তীব্র জলাবদ্ধতার শঙ্কা রয়েছে।
শুধু মহেশখাল নয়, নগরীর চাক্তাই খালসহ ১৮টি খালে এ ধরনের ৩৬টি বাঁধ রয়েছে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) কর্মকর্তারা সরেজমিন ঘুরে এ বাঁধের তালিকা প্রস্তুত করেন। গত বৃহস্পতিবার এসব বাঁধ অপসারণের জন্য সিডিএকে চিঠি দিয়েছে চসিক। এতে সিডিএর জলাবদ্ধতা প্রকল্পে চলমান কাজে বিভিন্ন খালের বিভিন্ন স্থানে প্রদত্ত অস্থায়ী বাঁধ বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা থেকে পরিত্রাণের জন্য মে মাসের মধ্যে অপসারণের জন্য অনুরোধ করা হয়। সিডিএকে চিঠি দেয়ার বিষয়টি দৈনিক আজাদীকে নিশ্চিত করেছেন চসিকের প্রধান প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম।
চসিক প্রণীত তালিকা সূত্রে জানা গেছে, মহেশখালের জেলে পাড়া, বিডিআর হলের সামনে, আর্টিলারি ব্রিজের পাশে, পূর্ব নিমতলা বন্দর এলাকা ও মনসুর মার্কেট এলাকায় বাঁধ রয়েছে। শহরের পানি নিষ্কাশনের আরেক গুরুত্বপূর্ণ চাক্তাই খালে আছে তিনটি বাঁধ। বহদ্দারহাট পুলিশ বঙ, হাইজ্জ্যর পুল ও ফুলতলা এলাকায় এসব বাঁধ দেয়া হয়।
এছাড়া মির্জা খালের খতিবের হাট মসজিদ, হাদু মাঝির পাড়ার মসজিদ, চান মিয়া সওদাগর পুল ও কালারপুলে বাঁধ রয়েছে। বীর্জা খালে দেয়া বাঁধগুলো আছে মোহনা ক্লাব ও রাহাত্তর পুল এলাকায়। শীতলঝর্ণা খাল, ডোম খাল, উত্তরা খাল, ত্রিপুরা খাল, চশমা খাল, গয়নার ছড়া খাল, সুরভী খাল, গুলজার খাল, রামপুর খাল, নাছির খান খাল, বারমাসিয়া খাল, টেকপাড়া খাল, ৭ নম্বর খাল, ৯ নম্বর গুপ্ত খাল, ১৫ নম্বর খাল, ১৭ নম্বর খালে বাঁধ রয়েছে।
এ বিষয়ে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল শাহ আলী দৈনিক আজাদীকে বলেন, চিঠি এখনো পাইনি। পাওয়ার পর যাচাই-বাছাই করে দেখবো।

পূর্ববর্তী নিবন্ধগতবারের ৩ গুণ অস্থায়ী পশুর হাট বসাতে চায় চসিক
পরবর্তী নিবন্ধনেতারা যা বললেন