গতবারের ৩ গুণ অস্থায়ী পশুর হাট বসাতে চায় চসিক

অনুমতি চেয়ে জেলা প্রশাসনে আবেদন

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ২৯ মে, ২০২২ at ৭:৫৩ পূর্বাহ্ণ

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে নগরে গতবারের তিন গুণ অস্থায়ী পশুর হাট বসাতে চায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। পশুর হাট বসানোর অনুমতি চেয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদনও করেছে সংস্থাটি। জেলা প্রশাসন চসিকের প্রস্তাবিত হাটের বিষয়ে নগর পুলিশের মতামত চেয়েছে।
চসিক সূত্রে জানা গেছে, এবার ১০টি অস্থায়ী হাট বসানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজস্ব শাখা। গতবার (২০২১) অস্থায়ী হাট বসেছিল তিনটি। ওই হিসেবে এবার তিন গুণ অস্থায়ী হাট বসানোর পরিকল্পনা করা হয়। অস্থায়ীর বাইরে তিনটি স্থায়ী পশুর হাট রয়েছে। প্রস্তাবিত অস্থায়ী হাটগুলো বসানোর অনুমতি পেলে এবার মোট ১৩টি হাটে কোরবানি পশু বিকিকিনি হবে। গতবার স্থায়ী-অস্থায়ী হাট বসেছিল ছয়টি। এর আগে ২০২০ সালে অস্থায়ী চারটিসহ মোট হাট বসেছিল সাতটি। এবার প্রস্তাবিত অস্থায়ী হাটগুলো হচ্ছে কর্ণফুলী গরুবাজার (নূর নগর হাউজিং এস্টেট), সল্টগোলা রেলক্রসিং-সংলগ্ন হাট, স্টিল মিল বাজার, পতেঙ্গা সিটি কর্পোরেশন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ (কাঠগড়), দক্ষিণ পতেঙ্গার বাটারফ্লাই পার্কের দক্ষিণে টি কে গ্রুপের খালি মাঠ, দক্ষিণ মধ্যম হালিশহরের ধুমপাড়া আউটার রিং রোডের পূর্ব পাশের খালি জায়গা, চৌধুরীহাট রেলস্টেশন বাজার, আমানবাজার ওয়াসা মাঠ, মাদারবাড়ী রেলক্রসিং-সংলগ্ন বালুর মাঠ ও কালুরঘাট সেতুর উত্তর পাশের মাঠ।
এছাড়া নগরের তিনটি স্থায়ী হাট হচ্ছে সাগরিকা পশুর বাজার, বিবিরহাট গরুর হাট ও পোস্তারপাড় ছাগলের বাজার। প্রতি বছর বাংলা সনের শুরুতে স্থায়ী বাজারে ইজারাদার নিয়োগ দেয় চসিক। এবার চার দফা দরপত্র আহ্বান করেও কাঙ্ক্ষিত মূল্য না পাওয়ায় সাগরিকা বাজারে ইজারাদার নিয়োগ দেয়া সম্ভব হয়নি। চসিকের কর্মীরা হাসিল আদায় করছেন এ বাজার থেকে।
জানা গেছে, অস্থায়ী হাট বসানোর অনুমতি চেয়ে গত ১৭ মে জেলা প্রশাসক বরারবর দেয়া চসিকের পত্রে বলা হয়, স্থানীয় জনসাধারণ ও জনপ্রতিনিধিদের চাহিদার ভিত্তিতে করোনা সংক্রমণ বিস্তার রোধে দ্রত সময়ে কোরবানির পশুর চাহিদা মিটাতে অস্থায়ীভাবে পশু বাজার ইজারা প্রদানের জন্য সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রসঙ্গত, গতবার জেলা প্রশাসনের কাছে নয়টি অস্থায়ী হাট বসানোর অনুমতি চেয়েছিল চসিক।
এদিকে চসিকের পত্রের প্রেক্ষিতে ২৬ মে জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক বদিউল আলম সিএমপি কমিশনার বরাবর মতামত চেয়ে পত্র দেন। এতে অস্থায়ী পশু বাজার বসানো বা ইজারা দেয়ার বিষয়ে সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি তদন্ত করে জরুরি ভিত্তিতে মতামত চাওয়া হয়।
ওই পত্র সূত্রে জানা গেছে, উত্তর পতেঙ্গা ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুল বারেক তার ওয়ার্ডস্থ ফ্লাইওভারের কাজ সমাপ্ত হওয়ায় স্টিল মিল ও কাঠগড় বাজারে অস্থায়ী পশুর হাট বসালে কোনো অসুবিধা হবে না বলে জানান। এছাড়া বিকল্প স্থান হিসেবে পূর্ব হোসেন আহমদ পাড়া টিএসপি মাঠ (স্টিল মিল বাজারের পরিবর্তে) এবং পতেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ (কাঠগড়) প্রস্তাব করেন।
চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম আজাদীকে বলেন, এখনো জেলা প্রশাসনের অনুমতি পাইনি। সিএমপির মতামত পাওয়ার পর জেলা প্রশাসন সিদ্ধান্ত জানাবে। এরপর আমরা দরপত্র আহ্বান করব। স্থায়ী পশুর হাট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিবিরহাট ও পোস্তারপাড় ইজারা হয়েছে। সাগরিকা বাজারে চতুর্থ টেন্ডারে একজন সরকারি মূল্যের উপরে দিয়েছে। তবে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বর্তমানে খাস কালেকশন চলছে।
প্রসঙ্গত, প্রতি বছর ১ থেকে ১০ জিলহজ্ব পবিত্র কোরবানির পশুর হাট বসে নগরে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১ জুলাই থেকে ১০ জুলাই জুলাই পর্যন্ত এবার হাট বসতে পারে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় স্কুল ছাত্রীকে ছুরিকাঘাত
পরবর্তী নিবন্ধনগরীর ১৮ খালে ৩৬ বাঁধ