নগরীর অতি সংক্রমিত এলাকা চিহ্নিত

'রেডজোন' ব্যানার লাগাল পুলিশ চলাচল নিয়ন্ত্রণে বিশেষ নজরদারি

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ২০ এপ্রিল, ২০২১ at ৫:৪৫ পূর্বাহ্ণ

করোনাভাইরাসে অতি সংক্রমিত হিসেবে চিহ্নিত করে নগরীর ৭টি এলাকায় নগর পুলিশের পক্ষ থেকে রেড জোনের ব্যানার সাঁটানো হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে কঠোর বিধি নিষেধ প্রতিপালনের পাশাপাশি বাড়তি সতর্কতার উদ্দেশ্যে এসব এলাকাকে বিশেষভাবে চিহ্নিত করার কথা জানিয়েছে নগর পুলিশ। এ এলাকাগুলোতে মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি বিভিন্ন বিধি নিষেধ কঠোরভাবে প্রতিপালনে পুলিশ গতকাল থেকেই তদারকি শুরু করেছে। নগরীর চকবাজার থানার জয়নগর আবাসিক, মেডিকেল এলাকা, পাঁচলাইশ থানার বাগমনিরাম ওয়ার্ডের ও আর নিজাম রোড এলাকা, হালিশহর থানার রামপুর ওয়ার্ডের সবুজবাগ ও নয়াবাজার এলাকা এবং পাহাড়তলী থানার সরাইপাড়া ওয়ার্ডের মৌসুমী আবাসিক ও সাগরিকা এলাকার একটি অংশকে বিশেষভাবে চিহ্নিত করে রেড জোনের ব্যানার সাঁটানো হয়েছে। যদিও গত ১৪ এপ্রিল থেকেই সারাদেশে কঠোর লকডাউন চলছে। যা আরো এক সপ্তাহ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে দেশব্যাপী এই কঠোর লকডাউন চলাকালীন নগরীর কিছু এলাকাকে আলাদাভাবে রেড জোন ঘোষণার বিষয়ে অবগত নয় চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য বিভাগ। চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলছেন, বিষয়টি আমাদের জানা নেই। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা ছাড়া এ ধরণের রেড জোন বা ইয়েলো জোন ঘোষণার সুযোগ আমাদের নেই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (সিটিএসবি) মো. মঞ্জুর মোর্শেদ আজাদীকে বলেন, আমরা এটাকে ঠিক রেড জোন ঘোষণা বলছি না। করোনাভাইরাসে অতি সংক্রমিত ও ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে এসব এলাকার কিছু কিছু অংশকে বিশেষভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। মূলত বাড়তি সতর্কতার উদ্দেশ্যেই এটা করা।
রেড জোনের ব্যানার সাঁটানোর বিষয়ে হালিশহর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম ও পাহাড়তলী থানার ওসি হাসান ইমাম আজাদীকে বলেন, চিহ্নিত এলাকার প্রতিটি প্রবেশমুখের মূল ফটক বন্ধ করে দিয়ে মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে চলাচল করতে দেয়া হচ্ছে না। একই সাথে স্বাস্থ্যবিধি ও বিধি নিষেধ মেনে চলতে মানুষকে সচেতন করার উদ্দেশ্যে মাইকিং করা হচ্ছে।
নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) বিজয় বসাক বলেন, কোন এলাকার প্রতি এক লাখ বাসিন্দার মাঝে ৬০ জনের বেশি করোনায় আক্রান্ত হলে ওই এলাকাকে অতি সংক্রমিত বা ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিশেষভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এটি মূলত অতি সংক্রমিত এলাকার বাসিন্দাদের আরো বেশি সচেতন করার উদ্দেশ্যেই করা। মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণ ও বিধি নিষেধ কঠোর করার মাধ্যমে এসব এলাকায় করোনার সংক্রমনটা যাতে নিয়ন্ত্রণে আনা যায়, পুলিশের পক্ষ থেকে সে চেষ্টাই করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমাহে রমজানের সওগাত
পরবর্তী নিবন্ধপার্সেল ট্রেনে পণ্য পরিবহন বাড়ছে