‘ধ্বংস করা’ পণ্য চুরি!

আনন্দবাজারে আমদানি নিষিদ্ধ ১০ ট্রাক হাঁস-মুরগির খাবার জব্দ পুঁতে ফেলা সেই পণ্যই নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ৯ নভেম্বর, ২০২২ at ৬:১২ পূর্বাহ্ণ

নগরীর বন্দর থানাধীন আনন্দবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে আমদানি নিষিদ্ধ ১০ ট্রাক হাঁস-মুরগির খাবার মিট অ্যান্ড বোন মিল (এমবিএম) জব্দ করা হয়েছে। গত সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে পণ্য বোঝাই এসব ট্রাক জব্দ করে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ও বন্দর থানা পুলিশ। এ বিষয়ে কাস্টমসের পক্ষ থেকে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান কাস্টমসের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা।

কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, কাস্টমস আইন অনুযায়ী এমবিএম ধ্বংসের জন্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) ময়লার ডিপো ল্যান্ডফিল এলাকায় ডাম্প করা হয়। পরে একটি চক্র তা আবার সংগ্রহ করে অজ্ঞাত গন্তব্যে পাচার করার চেষ্টা করছিল। এমবিএম মূলত মাছ ও হাঁস-মুরগির জন্য আমদানি নিষিদ্ধ খাবার, যা প্রাণীর বর্জ্য ও হাড় থেকে তৈরি করা হয়। এগুলো দূষিত হিসেবে প্রমাণিত। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের একটি প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের ২০ ডিসেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এমবিএম আমদানি নিষিদ্ধ করে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কাস্টমসের একজন কর্মকর্তা জানান, পণ্য ধ্বংসের জন্য বড় গর্ত তৈরি করে পুঁতে ফেলা হয়। এ অবস্থা থেকে আগেও পণ্য তুলে নেয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে নিয়ম মতে, বস্তা থেকে পণ্য মাটির সাথে মিশিয়ে এরপর পুঁতে ফেলার কথা। কিন্তু চোর চক্রের সাথে আঁতাত করে পণ্য ধ্বংসের সংশ্লিষ্টরা বস্তাসহ পুঁতে রাখে। পরে এসব বস্তা ট্রাকে করে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়।

বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান বলেন, পণ্য চুরির খবর পেয়ে আনন্দবাজার এলাকা থেকে ১০ ট্রাক পণ্য আটক করেছি। এসব পণ্য কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ধ্বংস জন্য করার জন্য নিয়ে গেছে শুনেছি। এ বিষয়ে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এখনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার মো. মুশফিকুর রহমান বলেন, ধ্বংসের পণ্য চুরির বিষয়ে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি। পণ্যগুলো কোথায় নেয়া হচ্ছে তা তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআপিলে নির্ধারিত ট্যাক্স নিয়ে আপত্তি থাকলে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করুন
পরবর্তী নিবন্ধসিএমপিতে যোগ দিচ্ছেন ৬ উপপুলিশ কমিশনার