দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে : খসরু

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ১৬ এপ্রিল, ২০২৪ at ৬:২৭ পূর্বাহ্ণ

দ্রব্যমূল্যের চরম ঊর্ধ্বগতিতে অধিকাংশ নিম্ন আয়ের মানুষ দুবেলা খেতে না পারলেও একটি শ্রেণির হাতে সম্পদ কেন্দ্রীভূত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, জনগণ এখন অধিকারহীন অবস্থার মধ্যে পড়ে গেছে। জীবন যাত্রায় মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। জীবন যাত্রার মান নিচের দিকে যাচ্ছে। আর একটি গোষ্ঠী লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচার করছে। ব্যাংক লুটপাট করছে। তারা মানুষের সব অধিকার কেড়ে নিয়েছে। এমনকি অর্থনৈতিক অধিকারও আজকে কিছু মানুষের হাতে চলে গেছে। মানুষ জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। ট্যাক্স দিয়ে, উচ্চ দ্রব্যমূল্য ও উচ্চ গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ বিল দিয়ে এটার পূরণ করতে হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষকে। মানুষ গরিব হচ্ছে। আর দিন দিন একটা শ্রেণির মানুষের হাতে সম্পদ কেন্দ্রীভূত হচ্ছে দলীয়ভাবে।

গত শুক্রবার দুপুরে নগরীর মেহেদীবাগস্থ বাসভবনে বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। ঈদের ২য় দিন সকাল থেকে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বাসভবনে নেতা কর্মীদের ঢল নামে। দিনভর বিভিন্ন শ্রেণির পেশাজীবী, দলীয় নেতাকর্মী ও সর্বস্তরের জনসাধারণের সাথে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ সময় সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভোটবিহীন নির্বাচনে জোর করে ক্ষমতা দখলের কারণে মানুষ এখন রাজনৈতিক, সাংবিধানিক, গণতান্ত্রিক ও সমস্ত অধিকারহীন অবস্থার মধ্যে পড়ে গেছে। দেশের পঁচানব্বই শতাংশ মানুষ ভোট কেন্দ্রে না গিয়ে তাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে। কিন্তু তারপরও একটি দল, একটি গোষ্ঠী ক্ষমতা দখল করে বসে আছে। সাধারণ মানুষ আজকে নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। জোর করে ক্ষমতা দখল করার জন্য যা যা করার দরকার তা তো করা ছাড়া তাদের আর কোনো উপায় নেই। কারণ জনগণ তাদের সাথে নাই। পঁচানব্বই শতাংশ মানুষ তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছে নির্বাচনের দিন। আর পাঁচ শতাংশ যারা গেছে তার মধ্যেও বেশীরভাগ বলছে ভোট হয়নি। সুতরাং প্রধানমন্ত্রী ও ওনার কিছু মন্ত্রী যারা কথা বলে এর বাইরে এই নির্বাচনে বাংলাদেশ ও দেশের বাইরে কারো কোনো সমর্থন নেই। এরকম একটি সরকার জনগণকে বাইরে রেখে ক্ষমতা দখল করার পরে দেশ কেমন থাকে? দেশ যেমন থাকার তেমন থাকছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশকে ফিরে পেতে হলে যে পঁচানব্বই শতাংশ মানুষ ভোটকেন্দ্রে যায় নাই, আর যারা গেছেও সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের মালিকানা ফিরে পেতে হলে সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়তে হবে। এই অবৈধ দখলদার ফ্যাসিস্ট সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে হবে। গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার নির্বাচিত হতে হবে। যারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে। জনগণের কাছে জবাবদিহি থাকবে। বিএনপি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে আছে, এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাসেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. নাজিম উদ্দীন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আশরাফ হোসেন চৌধুরী রাজ্জাক, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, সাধারণ সম্পাদক ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. নসরুল কদির।

পূর্ববর্তী নিবন্ধওমরাহ ভিসা নিয়ে সৌদি আরবের সতর্কবার্তা
পরবর্তী নিবন্ধবোয়ালখালীতে যুবলীগের নবগঠিত ইউনিয়ন কমিটি বাতিল