দ্বিতীয় দফায় দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ

মেজর সিনহা হত্যা মামলা

কক্সবাজার প্রতিনিধি | সোমবার , ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ৮:৫১ অপরাহ্ণ

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় দ্বিতীয় দফায় টানা চারদিনের সাক্ষ্যগ্রহণের দ্বিতীয় দিন আজ সোমবার মামলার স্বাক্ষী সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক কামাল হোসেনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও আসামীদের পক্ষে জেরা সম্পন্ন হয়েছে।

কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে সকাল সোয়া ১০টায় এ সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় ও বিকাল সাড়ে ৫টায় শেষ হয়। সাক্ষ্যগ্রহণকালে রাষ্ট্র ও আসামীপক্ষের আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

মেজর সিনহা হত্যা মামলায় দ্বিতীয় দফায় সাক্ষ্যগ্রহণের প্রথমদিন রবিবার মামলার ৩ নম্বর সাক্ষী মোহাম্মদ আলী’র সাক্ষ্যগ্রহণ ও আসামীদের পক্ষে জেরা সম্পন্ন হয়।

আগামী বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত টানা চারদিন এ সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম চলবে। এই সময়ে সাক্ষ্য দিতে আদালতে উপস্থিত থাকার জন্য চার্জশীটের ১১ জন স্বাক্ষীকে সমন জারি করা হয়। এ মামলায় ৮৩ জন চার্জশীটভুক্ত স্বাক্ষী রয়েছেন।

সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম উপলক্ষে মামলার ১৫ আসামীকেও কড়া নিরাপত্তার মাধ্যমে আদালতে হাজির করা হয়। এ আলোচিত মামলার আসামীরা হলো টেকনাফের বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলী, টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, তার দেহরক্ষী রুবেল শর্মা, টেকনাফ থানার এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কন্সটেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া, কন্সটেবল সাগর দেব, এপিবিএনের এসআই মো. শাহজাহান, কন্সটেবল মো. রাজীব, মো. আবদুল্লাহ, পুলিশের মামলার স্বাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নিজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।

এর আগে গত ২৩ আগস্ট থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রথম দফায় টানা তিন দিনে মামলার বাদী শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস ও একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী সাহেদুল ইসলাম সিফাতের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছিল। আর এর মাধ্যমেই শুরু হয়েছিল এ চাঞ্চল্যকর মামলার বিচার কার্যক্রম। গত ২৭ জুন ফৌজদারী দণ্ডবিধির ৩০২/২০১/১০৯/ ১১৪/১২০-খ/ ৩৪ ধারায় ১৫ আসামীর বিরুদ্ধে মামলাটির বিচারের জন্য অভিযোগ গঠন করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৩১ জুলাই ঈদুল আযহার আগের রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফের বাহারছড়ার এপিবিএন চেকপোস্টে পুলিশের গুলীতে খুন হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা রাশেদ খান।

এ ঘটনার ৫ দিন পর ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের তৎকালীন ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে প্রধান আসামি এবং টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ সহ নয় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন।

মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পান র‌্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম। চার মাসের বেশি সময় ধরে চলা তদন্তের পর গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্তকারীরা কর্মকর্তা। অভিযোগপত্রে সিনহা হত্যাকাণ্ডকে একটি ‘পরিকল্পিত ঘটনা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরাঙ্গুনিয়ায় পাহাড় কাটায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা
পরবর্তী নিবন্ধগণটিকার দ্বিতীয় ডোজ শুরু কাল