দেশ হতে দেশান্তরে

সেলিম সোলায়মান | রবিবার , ১৯ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৬:৩৫ পূর্বাহ্ণ

লাল ফিতার দৌরাত্ম্য

অতপর প্রথমে হেলেন, তার কিছুক্ষণ পর লাজু এসে দলে যোগ দিতেই সদলবলে এগুলাম গ্রেটের ভেতরের গ্রেটের অভ্যন্তরে, মানে গ্রেট অডিটোরিয়ামে। কপাল ভাল যে এখানে একদম দরজার মুখেই কোন লাল ফিতার ব্যারিকেড নেই। মানে দরজা পেরিয়ে বেশ কিছুটা ভেতরে ঢোকার অবকাশ আছে। তবে ধারনা করছি অবশ্যই খুব বেশী গভীরে যেতে পারবো না গ্রেট অডিটোরিয়াম অভ্যন্তরে ।
দরজা পেরিয়ে ভেতরে পা দিতেই বোঝা গেল, ধারনা সঠিক। দরজা পেরুনোর পর পাঁচ সাত ফুট দূরেই দেখা মিলল সেই লাল ফিতা ব্যারিকেডের। অতএব থামতে হলো সবাইকে নিয়ে। এদিকে এই দরজা পেরিয়ে ভেতরের দিকে চোখ রেখেই সম্ভবত দু’পুত্র আমার ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গিয়েছিল প্রথমে, তাই প্রথমে কিছুক্ষণ শুধু চারিদিকে ঘাড় ঘুরিয়ে আর দু নয়ন মেলে ভেতরটা জরীপ করতেই ব্যস্ত ছিল তারা। এবার দুজনেরই ফুটলো মুখ, একসাথে নির্দিষ্ট কোনো অর্থবোধক শব্দ নয়, কিন্তু অবাক হবার তুমুল ব্যঞ্জনা প্রকাশ করে অভ্র শুধু বলল ‘ওয়াও’ অন্যদিকে ‘বাবা এই এত্তো বিশাল এই অডিটোরিয়ামে কী হয়’? দীপ্রর জিজ্ঞাসা ।এসবের কো কোনোটারই উত্তর দেবার ফুরসৎ পাওয়ার আগেই শোনা গেল ফের অভ্রর যুগপৎ অবাক ও উত্তেজিত গলা
‘ভাইয়া, বাবা, মা, দেখো দেখো , কী বিশাল একটা লাল তারা ঐ যে ছাদে! আর ঐটার চারিদিকে ঐ লাইটগুলোকেও মনে হচ্ছে ছোট ছোটা তারা। ঐ ছাদটাকে দেখে মনে হচ্ছে তারা ভরা আকাশ’! ওর মুখনিঃসৃত এ কথায় সকলেরই গেল চোখ একসাথে ছাদের দিকে, যেখানকার মাঝটায় উজ্জ্বল আর বিশাল এক লাল তারাকে ঘিরে জ্বলছে অসংখ্য বাতি। দেখে মনে হল ঠিকই বলেছে অভ্র ; তারা ভরা আকাশের মতো মনে হচ্ছে ওটাকে। বাইরের হিমে জমে যাওয়া বেইজিঙয়ের ধোয়াশায় মোড়া গোমড়া আকাশ দেখে সকলের মনে যদি কোনো গুমোট ভাব জমা হয়েও থাকে এতক্ষণ, এখন এখানাকার আলো ঝলমলে কৃত্রিম এই আকাশ দেখে মনে হল সকলের মন বুঝি চনমনে হয়ে উঠল ।
‘আচ্ছা এত্ত বড় একটা রুমে কী হয় আসলেই’। ঘাড় ঘুরিয়ে বিশাল তিনতলা ব্যাপী তিনস্তরের গ্যালারীতে হাজার হাজার চেয়ার সম্বলিত সুবিশাল এই অডিটোরিয়ামটি যতোটা পারা যায় জরীপ করছিলাম যখন, তখনই একটু আগে করা দীপ্রর প্রশ্নটি ফের ধ্বনিত হল, তবে এবার ওর মায়ের কণ্ঠে ।
যতোটা জানি, প্রতি বছর মার্চে এখানে চায়নিজ পিপলস কংগ্রেসের সদস্যরা এখানে দেশের নানা আইন কানুনের পরিবর্তন পরিবর্ধন এসব নিয়ে আলোচনা করার জন্য বসে। আবার প্রতি পাঁচ বছর পর পর চায়নিজ কমিউনিস্ট পার্টির মিটিংও হয় এখানে। সবার উদ্দেশ্যে এই কথা বলতেই ‘এখানে কি দুইটা পার্টি আছে নাকি আমাদের দেশের মতো’ ? লাজু জিজ্ঞেস করতেই বুঝলাম, চায়নিজ পিপলস কংগ্রেস, আর চায়নিজ কম্যুনিস্ট পার্টি এ দুটো নাম শুনে ও মনে করেছে এখানেও বুঝি আমাদের দেশের মতোই আওয়ামী লিগ, বিএনপি অবস্থা ! দ্রুত বললাম, যে নাহ আমার জানামতে এখানে দ্বিতীয় বা তৃতীয় কোনো দল থাকার প্রশ্নই উঠে না। এখানে অবস্থা হল যাহাই বাহান্ন তাহাই তিপান্ন । মানে ঐ পিপলস কংগ্রেসও, কম্যুনিস্ট পার্টিরই লোকদের দিয়ে তৈরি ।
‘বুঝলাম না’। প্রমাদ গুণলাম মনে মনে বরাবরের অভ্যাসমাফিক লাজুর এই সোজা সাপটা জবাবে দু কারণে । প্রথমত এখন রাষ্ট্রকাঠামো, সরকার বিষয়ে বিশেষ ভাবে অজ্ঞ আমাকে কিনা বলতে হবে তার কাছে যার নাকি আছে এ বিষয়ে সর্বোচ্চ ডিগ্রি। যাকে বলে মায়ের কাছে মাসীর গল্প করা। আবার মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’য়ের মতো একেতো চায়নার সরকারি ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের খবরের বেশীরভাগই থাকে লৌহযবনিকার আড়ালে। তবে সবচেয়ে বড় বিষয় যা তা হল সেই যে বলেছিলাম , এই চায়না বাংলাদেশের জন্মমুহূর্তেই তার মুখে নুনই গুঁজে দেয়নি শুধু, আমাদের স্বাধীনতার পর অনেকদিন পর্যন্ত ; মানে ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান সপরিবারে নিহত হওয়া না পর্যন্ত,এরা স্বীকৃতিই দেয়নি আমার সোনার বাংলাকে। এমনকি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসাবে জাতিসঙ্ঘে আমাদের অন্তর্ভুক্তির বিরোধিতা করেই এই চায়না তার ভেটো দেবার ক্ষমতাটির বিসমিল্লাহ করেছিল। এতোসব কারণে এদের হাল জমানার সরকারি বিষয় আর রাজনৈতিক ব্যাপারে আগ্রহ আমার বরাবরই কম। ফলে এ নিয়ে জানাশোনা আমার এক্কেবারেই ভাসা ভাসা। তারপরও এটুকু জানি যে চায়নিজ পিপলস কংগ্রেস তৈরি হয় এদের আইনসভার সভ্যদের নিয়ে, যারা আবার আসেন সবাই চায়নিজ কম্যুনিস্ট পার্টি থেকেই, পার্টিসভ্য কর্তৃক নির্বাচিত হয়ে। সুতরাং হচপচ করে বললাম সে কথাই। সাথে বললাম যে, চায়নিজ পিপলস কংগ্রেস সদস্যদের আমাদের সংসদ সদস্যদের মতোই বলা চলে।
‘কত সংসদ সদস্য এদের আছে তাহলে’? ফের প্রমাদ গুণলাম হেলেনের প্রশ্নে এবার। কারণ সঠিক সংখ্যা তো জানি না। অতএব সিদ্ধান্ত নিলাম, না জেনেও সবজান্তা ভাব ধরে আন্দাজে আর বলব না কিছু। সিদ্ধান্ত নিলাম সোজা বলে দেব যে, জানি না। কিন্তু মুখ খুলে অভ্যাস যায় না ম’লে বলে যে প্রবচনটি আছে সেটিকে সত্য প্রমাণিত করে, বললাম হাজার তিনেক হবে হয়তো, সঠিক সংখ্যা জানি না যদিও ।
‘এত্তো ! আচ্ছা আর কি ভেতরে যাওয়া যাবে না এর’? হেলেনের প্রথম ধ্বনির জবাবে কিছু না বলে ওর উৎসুক প্রশ্নের জবাবে বললাম, নাহ দেখতেই তো পাচ্ছিস, এই লাল ফিতার ঐদিকে আর যাওয়া যাবে না ।
‘বাবা, বাবা, হোয়াট দ্যাট সাইন মিন’? আমাদের নাক বরাবর গ্রেট অডিটোরিয়ামের লাল কার্পেট ঢাকা বিশালাকার মঞ্চের পেছনে দুই দিকে ঝুলতে থাকা তিন প্রস্থ, চমৎকার ঢেউ তুলে ভাজ করে রাখা বিশাল লালপর্দার, মাঝখানটার ফাঁকা জায়গাটাতে হলদেটে রঙয়ের কাপড়ের উপরে তার চেয়ে গাঢ়তর হলুদ রঙয়ের কাস্তের উপরে বসানো আর হাতুড়ি, মানে কমিউনিস্ট পার্টির লোগো ব্যাপারে প্রশ্ন এলো ছোট পুত্রের কাছ থেকে এবার।
ওহ ও দুটো দিয়ে চায়নার কৃষক আর শ্রমিকদের কথা বোঝাচ্ছে। আমাদের দেশে যেমন কৃষকেরা কাস্তে দিয়ে ধান কাটে। দেখেছ কি, তুমি?
‘হুম ম’ বলে দেয়া অভ্রর অনিশ্চিত উত্তরে দীপ্র বেশ বিরক্ত হয়ে তীব্র গলায় বলল, ‘কেন তুমি দেখো নাই। আমরা যখন, নানু বাড়ি গেলাম বা সাপদি গেলাম, জমিতে ধান কাটতে দেখ নাই মানুষদের’?
ঠিক আছে ঠিক আছে, দেখেছে কিন্তু হয়তো ভাল করে খেয়াল করে নাই ও। পরেরবার গেলে ভাল করে দেখবে অভ্র। দুপুত্রের মাঝখানে অবস্থান নিয়ে ঘটনা যাতে এরচেয়ে বেশী কিছুতে না গড়ায়, তা নিশ্চিত করে, আগের কথার জের টেনে বললাম, এখানকার কৃষকরাও সেই কাস্তে দিয়েই ফসল কাটত একসময়। এখন হয়তো চায়নার কৃষকরা মেশিন দিয়েই ফসল কাটে। আর কলকারখানা অটোমেটিক হয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত, ঐ হাতুড়িই ছিল একসময় সমগ্র পৃথিবীর শ্রমিকদের কাজ করার অন্যতম হাতিয়ার ।
‘এখানে দাঁড়িয়ে থেকে আর কী হবে ? ভেতরে তো আর যেতে দেবে না। চল বাইরে যাই। কোথাও একটু বসতে পারলে ভাল হতো’ কথা কটি বলেই এসময় লাজু ঘুরে দরজার দিকে হাঁটা ধরতেই বিনাবাক্যব্যয়ে দলের বাকীরাও তাকে অনুগমন করতেই সবার পেছনে এগুতে এগুতে ভাবনা এলো, আচ্ছা ৯০ এর দশকে রাশিয়ায় ঘটে যাওয়া গর্বাচভকাণ্ডের পর দিকে দিকে হাতুড়ি কাস্তের সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ে গিয়ে গোটা সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থাটিকে এ গ্রহের হিমাগারে পাঠিয়ে দিলেও, হাতুড়ি কাস্তে কিন্তু এখনও রয়ে গেছে নানান দেশের কমিউনিস্ট পার্টির পতাকায়, পতাকায়। কিন্তু কথা হচ্ছে, গত পঞ্চাশ ষাট বছরে, মানবসৃষ্ট যন্ত্রনির্ভর শিল্পসভ্যতায় যে দ্রুত গতিতে উন্নয়ন ঘটিয়েছে নানান যন্ত্রের, তাতে তো এই হাতুড়ি আর কাস্তে দুটোই হয়ে গেছে আসলেই যাদুঘরে রাখার মতো যন্ত্রই। এ দিয়ে তো আজকের ডিজিটাল যুগের চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সময়কার প্রজন্মকে কাস্তে হাতুড়ি নির্ভর শ্রমিকের সাথে সামাজিক আর রাজনৈতিকভাবে অর্থনীতির যা সম্পর্ক তা তো বোঝানো বেশ কষ্টকর ব্যাপার হয়ে যাবে ! এটি তো বদলানো দরকার!
‘ঐ যে বাবা, ঐ যে সিঁড়িটা দেখা যাচ্ছে, এটা দিয়ে উপরে উঠলে মনে হয় যাওয়া যাবে, এই অডিটোরিয়ামের উপর তলায়’। এইমাত্র গ্রেটের ভেতরের গ্রেটে একটু আগে ঢুকেছিলাম যে দরজা দিয়ে, তা থেকে বেরিয়ে ফের হল ঘরে পা রাখতেই, এই দরজারই মুখোমুখি মিটার বিশেক দূরের লাল কার্পেটে ঢাকা উপরের দিকে উঠে যাওয়া সিঁড়িটি চোখে পড়তেই, ঐ কথা কটি উচ্চারণ করে কারো কোনো ওজর আপত্তির তোয়াক্কা না করে দীপ্র দিল ভোঁ দৌড় সেই সিঁড়ির দিকে। বলার অপেক্ষা রাখে না, জ্যেষ্ঠ ভ্রাতার পাদাংক অনুসরণ করতে তিলার্ধও দেরী করল না অভ্রও একই সাথে । যেহেতু এদিকটায় এমুহূর্তে দু তিন জোড়া চায়নিজ দর্শনার্থী ছাড়া আর তেমন কোনো লোকজন নেই, তাই ওদের এই দৌড়ঝাপে কেউই কো কোনোরকম গা না করে নিজেরাও এগুতে থাকলাম সেই সিঁড়ির দিকেই। ততক্ষণে দু’ ভাই পরস্পরের সাথে পাল্লা দিয়ে, সামনের সিঁড়ি ভেঙ্গে ধুপধাপ করে উপরে উঠে, সিঁড়ির ল্যান্ডিং দাঁড়িয়ে, একই সাথে গলা উঁচিয়ে জিজ্ঞেস করল, ঐ ল্যান্ডিং থেকে ডানে মোড় নিয়ে দ্বিতীয় তলায় উঠে যাওয়া সিঁড়ি দিয়েও উঠবে কি না ওরা?
মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ সূচক জবাব দিতেই, ডান দিকের সিঁড়ি ধরে দু’জনে চোখের আড়াল হয়ে যেতেই, লাজু হাহাকার করে বলে উঠল, ‘কী ব্যাপার ? কিছু বললে না যে তুমি? মানা করলে না কেন ওদের’?
কপাল ভাল! মানা করা তো দূরের কথা, বরং ওদের আবেদনের জবাবে আমিই যে মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানানোর মতো গুরুতর অপরাধটি করেছি, তা নজরে পড়েনি পুত্রদের মায়ের। সে ফাঁড়া যখন কেটেছে, এখন দেরী করে নিজ থেকে আবার কেন ডেকে আনি সেই ফাঁড়া? অতএব কোনোরকম দ্বিরুক্তি না করে, নিজেই এগিয়ে গেলাম অনেকটা দৌড়ের ভঙ্গিতে ছেলেদের উদ্দেশ্যে।
কিন্তু নাহ, দোতালায় ওঠার প্রথম ধাপের এই সিঁড়ির আধাআধি উঠতেই, হৈ চৈ করে উপর থেকে নেমে আসার পদধ্বনি শুনতে পেয়ে দাঁড়িয়ে পড়তেই, ততোক্ষণে ওরা ফিরে এসে জানালো উপরের সিঁড়ির মুখেই লাগানো আছে আবারো সেই লালফিতা।
বুঝলাম সকলি গরল ভেল। উপরে উঠে লাভ নেই। নিজ দেশের সমস্ত সরকারি দপ্তরের লাল ফিতার দৌরাত্মের মতো এখানেও তো দেখছি পদে পদে লাল ফিতার দৌরাত্ম! অবশ্য জানি না জনগণের টাকায় কেনা লাল ফিতা দিয়ে, জনগণের টাকায় বেতনভোগ করা নানান মাপের সরকারি কর্মচারী আর কর্মকর্তা মিলে, আমাদের দেশের জনগণের জানপ্রাণ ওষ্ঠাগত করে যেমন নিজেরা হয়ে উঠে স্ব স্ব পদের একেকজন মহাপরাক্রমশালী আলেকজান্ডার সেকান্দর, এই গ্রেটহলে একটু পর পর লাল ফিতার এই ব্যারিকেড দেখে প্রশ্ন জাগল, আচ্ছা এখানকার সরকারি কর্মচারী কর্মকর্তারাও কি একই জাতেরই? যতদূর মনে পড়ে খৃস্টপূর্ব ২২০ সালের দিকে এই চায়নার কুইন ডায়ন্যাস্টিই রাষ্ট্র পরিচালনার সুবিধার্থে ব্যুরক্রেসি নামের লালফিতার জন্ম দিয়েছিল। যার মানে হল, এ হল এক্কেবারে যাকে বলে লালফিতার সূতিকাগার। অতএব এখানে লাল ফিতার দৌরাত্ম্য থাকবে না! এরকম মনে করাটা বরং খুব একটা যুক্তিগ্রাহ্য কল্পনা বা সিদ্ধান্ত হবে না। তদুপরি এখানে আছে লালের উপর লাল। মানে একদিকে ফাইলে ফাইলে আছে ব্যুরোক্রেসির লাল, অন্যদিকে মানুষের মুখে মুখে লাগানো আছে বিখ্যাত সমাজতান্ত্রিক লালটেপ! মোটকথা দুই লালের দৌরাত্ম্যে, অবস্থা তো মনে হচ্ছে তাহলে এখানে ‘লালে লাল দুনিয়া’ এক্কেবারে।
লেখক : প্রাবন্ধিক, সংগঠক

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাংলাদেশ : উন্নয়ন ও সাফল্যের অগ্রপথিক
পরবর্তী নিবন্ধসেকান্দার হোসেন মিয়া আমাদের প্রিয় লালু ভাই