করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে কঠোর লনডাউনের দ্বিতীয় সপ্তাহে এসে আবারও একই দিনে শনাক্ত ও মৃত্যুর নতুন রেকর্ড দেখতে হলো বাংলাদেশকে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল রোববার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে মৃত্যু হয়েছে ২৩০ জনের। এদের মধ্যে পুরুষ ১৩৩ জন এবং ৯৭ জন নারী। আর এই এক দিনে আরও ১১ হাজার ৮৭৪ জনের মধ্যে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে। গত বছর মার্চে দেশে করোনার মহামারী শুরুর পর এক দিনে এত বেশি মৃত্যু আর এত বেশি রোগী শনাক্ত আর কখনও হয়নি। খবর বিডিনিউজ ও বাংলানিউজের।
ভাইরাসের ডেল্টা ধরনের বিস্তারের কারণে গত দুই সপ্তাহ ধরেই রেকর্ডের ভাঙাগড়া চলছে। পরিস্থিতি ক্রমশ আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। গত ৯ জুলাই দেশে রেকর্ড ২১২ জনের মৃত্যুর খবর এসেছিল। তার আগের দিন রেকর্ড ১১ হাজার ৬৫১ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল। তিন দিনের মাথায় সব রেকর্ড ভেঙে গেল। সব মিলিয়ে দেশে এ পর্যন্ত মোট ১৬ হাজার ৪১৯ জনের মৃত্যু হলো করোনাভাইরাসে। শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১০ লাখ ২১ হাজার ১৮৯ জনে। সরকারের হিসাবে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬ হাজার ৩৬২ জন সুস্থ হয়েছেন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ৭৪ হাজার ১৬৭ জন।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬১ শতাংশ।
সারা দেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬১৩টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৩৯ হাজার ৮৬০টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪০ হাজার ১৫টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৬৯ লাখ ৭১ হাজার ১৬৭টি।
২৪ ঘণ্টায় মৃত ২৩০ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৫৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৯ জন, রাজশাহী বিভাগে ২৬ জন, খুলনা বিভাগে ৬৬ জন, বরিশাল বিভাগে ৮ জন, সিলেট বিভাগে ৮ জন, রংপুর বিভাগে ২২ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ৫ জন রয়েছেন।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে ১১১ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৫১ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৪২ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১৯ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৭ জন রয়েছেন।