ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক বিশ্বজিৎ চন্দ বলেছেন, সক্ষমতা থাকলে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দেশের বাইরে ক্যাম্পাস চালু করতে পারে। দুবাইয়ে বাংলাদেশ এডুকেশন ফোরামের সমাপনী অধিবেশনে গত রোববার তিনি এ কথা বলেন। গতকাল সোমবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সম্মেলনের খবর জানানো হয়। তিন দিনের এ আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু হয় রোববার। এতে বাংলাদেশের নয়টি বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয় ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি মেডিকেল কলেজ অংশ নেয়। দেশে ৫৩টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি ১০৯টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন রয়েছে। স্বল্প সংখ্যক বিদেশি শিক্ষার্থী বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষা নিতে আসলেও এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশের বাইরে কোনো একাডেমিক কার্যক্রম নেই। খবর বিডিনিউজের।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উপসাগরীয় ছয়টি আরব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের শিক্ষা বিনিময় বাড়াতে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। আয়োজকরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা দেশের বাইরে, বিশেষ করে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরবে শিক্ষা কার্যক্রমের সমপ্রসারণ করতে চান।
তাদের আশা, এসব দেশে প্রচুর বাংলাদেশি থাকায় রেমিটেন্সে তা গতি বাড়াতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্যাম্পাস সমপ্রসারণের বিষয়ে ইউজিসির সদস্য বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রস্তুত থাকলে অথবা যখন সক্ষম হবে তখন দেশের বাইরে তাদের ক্যাম্পাস চালুর জন্য আবেদন করতে পারে। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আন্তর্জাতিকভাবে কার্যক্রম চালাতে পারে, বিদেশি শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা বাইরে বিস্তৃত করার ক্ষেত্রে আমাদের পক্ষ থেকে কখনোই কোনো বাধা নেই। যথাযথ প্রস্তুতি থাকলে বিদেশে শিক্ষা কার্যক্রম চালানোর অনুমোদন দেওয়া হতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শিক্ষা ক্ষেত্র রেমিটেন্সের নতুন উৎস হতে পারে, যা চলমান অর্থনৈতিক সংকটে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে পারে।’