দেওয়ানহাট ওভারব্রিজের নিচে স্থাপনা!

৫০টি সেমিপাকা ঘর নির্মাণ করা হচ্ছিল প্রতি ঘরে ১৫ লাখ টাকা দাবি করে সংঘবদ্ধ চক্র পরে গুদাম তৈরির সিদ্ধান্ত হয়

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ১৮ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৫:৫৬ পূর্বাহ্ণ

নগরীর দেওয়ানহাট ওভারব্রিজের নিচে খালি জায়গায় পাকা ঘর তুলে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার মিশনে নেমেছে সংঘবদ্ধ একটি চক্র। ওখানে ৫০টি সেমিপাকা ঘর নির্মাণ করা হচ্ছিল। পরে গুদাম তৈরির সিদ্ধান্ত হয়। ঘর বরাদ্দ দিয়ে অগ্রিম টাকাও নেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

সরেজমিনে গিয়ে এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেওয়ানহাট ওভারব্রিজের নিচে ঝুপড়ি ঘরে বেশ কিছু মানুষ বসবাস করতেন। এসব ঝুপড়ি মাদক এবং অসামাজিক কার্যকলাপের আখড়ায় পরিণত হয়েছিল। গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ঝুপড়িগুলো উচ্ছেদ করে জায়গাটি অবৈধ দখলমুক্ত করে। বেশ কিছুদিন জায়গাটি খালি ছিল।

স্থানীয় প্রভাবশালী একটি চক্র সম্প্রতি পাকা ঘর নির্মাণের কার্যক্রম শুরু করে। তারা ঘোষণা দেয়, পঞ্চাশটি ঘর নির্মাণ করে বরাদ্দ দেয়া হবে। একটি ঘরের জন্য ১৫ লাখ টাকা দাবি করে। বিভিন্নজনের কাছ থেকে টাকা নেয়া হয়। পরে দেয়াল তোলার পর বসতঘরের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে নির্মাতারা গুদাম তৈরি করার উদ্যোগ নেয়। ব্রিজের নিচে ৫০টি ঘরের জায়গায় গুদাম নির্মাণ করা হবে বলে জানানো হয়। স্থানীয় জিয়াউল হক জিয়া, সালাউদ্দিন, রানা, নজরুল, এরশাদ, আলমগীর ও পাভেলসহ কয়েকজন যুবক ওভারব্রিজের নিচে খোলা জায়গায় ঘর নির্মাণ করছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, ঘর নির্মাণের সাথে জড়িতরা ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ জাবেদের লোক। সবাই তাদের ভয় করে। সিটি কর্পোরেশন থেকে তারা জায়গাটি নিয়েছে মর্মে প্রচার করে ঘর বিক্রির তোড়জোড় চালাচ্ছে। ঘর বরাদ্দ দিয়ে নেয়া অগ্রিম টাকা দিয়ে নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেও চক্রটি স্থানীয়দের পাত্তা দিচ্ছে না।

জানা যায়, দেওয়ানহাট ওভারব্রিজের ওজন বেড়ে যাওয়াসহ পিলার ও বিমে অনেক ফাটল দেখা দিয়েছে।

ব্রিজের নিচে ঘর নির্মাণে নিজের লোকের জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে ২৩ নং উত্তর পাঠানটুলি ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ জাবেদ বলেন, ব্রিজের নিচে ওয়াল নির্মাণ করা হচ্ছিল। খবর পেয়ে গতকাল আমি নিজে গিয়ে এলাকাটি পুরোপুরি সিলগালা করে দিয়েছি। এখন সেখানে ঘর তৈরি করা তো দূরের কথা, সর্বসাধারণের প্রবেশও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকক্সবাজারে ইয়াবা কারবারির সঙ্গে বিজিবির গোলাগুলি
পরবর্তী নিবন্ধকাজ করতে হবে ওষুধ প্রশাসনকে