কক্সবাজারে দুদল ইয়াবা কারবারি নিজেদের মধ্যে গোলাগুলির এক পর্যায়ে বিজিবির সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে। এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে বালুখালী বিওপির অদূরে এ ঘটনা ঘটে বলে কক্সবাজারের ৩৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এর আগে সীমান্ত এলাকা থেকে বিজিবির বিওপি লক্ষ্য করে গোলাগুলি হয় বলে স্থানীয়রা জানিয়েছিল। খবর বিডিনিউজের।
ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম চৌধুরী স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিকাল ৫টা ৪০ মিনিটে কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের ৩৪ বিজিবির অধীনস্থ বালুখালী বিওপি থেকে আনুমানিক দেড় কিলোমিটার দক্ষিণ দিকে এবং সীমান্ত পিলার–২০ থেকে আনুমানিক ৮০০ গজ উত্তর–পূর্বে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে রহমতের বিল হাজীর বাড়ী এলাকায় ইয়াবা কেনাবেচা নিয়ে দুদলের গোলাগুলি শুরু হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ সময় বালুখালী বিওপির একটি বিশেষ টহল দল তার কাছে থাকায় দ্রুত সংঘর্ষ এলাকায় গিয়ে ‘রণকৌশলগত’ অবস্থান নেয়। বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি শুরু করে। উক্ত সময়ে বিজিবি টহল দল তাদের জান–মাল ও সরকারি সম্পদ রক্ষার্থে কৌশলগত অবস্থানে থেকে পাল্টা ফায়ার করলে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এ সময় বালুখালী বিওপি থেকে দ্রুত আর একটি টহল দল আগের বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে যোগ দেয়। একই সময়ে পার্শ্ববর্তী ঘুমধুম বিওপি থেকেও আরকটি টহল দল পিকআপ যোগে অল্প সময়ের মধ্যে ঘটনাস্থলে বিজিবির শক্তি বৃদ্ধি করে। এরপর ‘ইয়াবা সন্ত্রাসীরা’ মিয়ানমারের দিকে পালিয়ে যায় বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
এই গোলাগুলিতে বিজিবি টহলদলের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি; তবে ‘ইয়াবা ব্যবসায়ীদের’ কোনো সদস্য হতাহত হয়েছে কিনা তা জানা যায়নি বলে বিজিবি জানায়। বর্তমানে সকল বিওপি সতর্ক অবস্থায় রয়েছে এবং পাশাপাশি টহল এবং গোয়েন্দা কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হয়েছে।