দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় ‘বঙ্গবন্ধু মডেল’ বিশ্বস্বীকৃত

ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী | শনিবার , ২২ অক্টোবর, ২০২২ at ৬:০১ পূর্বাহ্ণ

মুক্তির মহানায়ক স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় গৃহীত প্রায়োগিক কর্মকৌশল এখনও অতুলনীয় প্রাসঙ্গিকতায় অত্যুজ্জ্বল। ঘূর্ণিঝড়-খরা-বন্যা-দুর্ভিক্ষসহ নানামুখী প্রাকৃতিক ও হিংস্র মানবসৃষ্ট সামাজিক-রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় বঙ্গবন্ধুর মাঙ্গলিক পারদর্শীতা-দৃঢ়চেতা-নির্ভীকতা-দেশপ্রেম মাটি ও মানুষের প্রতি তাঁর গভীর মমত্ববোধের পরিচায়ক হিসেবে বিশ্বস্বীকৃত। যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি প্রায় ভঙ্গুর জাতিরাষ্ট্রকে স্বাধীনতার অব্যবহতির পর থেকেই সুদৃঢ় নেতৃত্বে সকল প্রতিবন্ধকতা নিধন করে কীভাবে উন্নয়ন অগ্রগতিকে নতুন ধারায় প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন, অবাক বিস্ময়ে তা এখনও বিশ্ববাসীর হৃদয়ে বিশাল অনুপ্রেরণার উৎসরূপে উদ্ভাসিত। দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের নানা পর্যায়ে পাকিস্তানি সেনা-স্বৈরশাসকদের বৈষম্য-নিবর্তনমূলক শাসন-শোষণ বঙ্গবন্ধুকে খুবই ব্যথিত করেছিল। জনগণের জীবন-জীবিকার প্রবাহে যথার্থ মান উন্নয়নে শুধু প্রতিবাদেই তাঁর ভূমিকা সীমাবদ্ধ ছিল না; তৃণমূল পর্যায় থেকে সকল স্তরে স্ব উদ্যোগে-স্ব হস্তে কর্মযজ্ঞ পরিচালনায় সমাজের সার্বিক কল্যাণে নানাবিধ দুর্ভোগ উত্তরণে বঙ্গবন্ধু ছিলেন অদ্বিতীয় ও কিংবদন্তী। তাঁরই প্রদর্শিত পথ চলায় ঋদ্ধ-সমৃদ্ধ আজকের বাংলাদেশ দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বপরিমণ্ডলে অপার সম্ভাবনা-উন্নয়নের অভূতপূর্ব অর্জনে সক্ষম দেশরূপান্তরে মর্যাদাসীন।
দেশবাসীর স্মরণে ১৯৬২, ১৯৬৩ ও ১৯৬৫ সালে সংঘটিত প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে লক্ষাধিক প্রাণহানির ঘটনা কোনদিন মুছে যাওয়ার নয়। ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর সর্বোচ্চ ২২৪ কিলোমিটার বেগে ভোলায় আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী সাইক্লোনে প্রায় ১০ লাখ মানুষের নির্দয় মৃত্যু ছিল এক দুঃসহ দৃশ্যপট। ১০-৩৩ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনাসহ বিপুলসংখ্যক এলাকা প্লাবিত হওয়ার ফলশ্রুতিতে অগণিত গবাদিপশু-ঘরবাড়িসহ ব্যাপক সম্পদহানির ঘটনা অদ্যাবধি প্রাণে বেঁচে যাওয়া মানুষকে করছে বেদনাহত।

১৯৭০ সালের ২৬ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু বিশ্ববাসীর কাছে ঘূর্ণিঝড়ে ১০ লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু ও দুর্যোগাক্রান্ত অঞ্চলের মানুষের অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্টের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরেন এবং সাহায্যের জন্য আকুল আবেদন জানান। দুর্যোগ মোকাবিলায় তৎকালীন সরকারের অদূরদর্শীতা ও বৈরী মনোভাব পোষণ প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘আজাদীর ২৩ বছর পরেও বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য পরিকল্পনা পর্যন্ত তৈরি হয়নি। ১০ বছর আগেও একবার ঘূর্ণিঝড় ও সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসে এই এলাকার মারাত্মক ক্ষতি হয়েছিল। এবার ১০ বছর পর ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপকতা সহস্র গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এক দশক আগে ঘূর্ণিঝড় প্রতিরোধী আশ্রয়স্থল নির্মাণ, সমুদ্র উপকূলবর্তী গ্রামসমূহের পুনর্বিন্যাস এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছিল। পূর্ণ এক দশক অতিক্রান্ত হওয়ার পরেও এসব পরিকল্পনা একগাদা প্রকল্পের মধ্যে আটকা পড়ে আছে এবং তা এখনও কার্যকর করা হয়নি।’ মূলত ২৬ নভেম্বরের এই বক্তব্যে লুকায়িত ছিল দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা।
১৯৭১ সালের ১৪ মার্চ পূর্ব পাকিস্তান প্রশাসনকে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ৩৫টি নির্দেশনার মধ্যে ছিল দুর্গত এলাকায় বাঁধ তৈরিসহ সব উন্নয়নমূলক-পুনর্বাসন-পুনর্নিমাণ কাজ, সাহায্য-সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রস্তাবনা। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনের প্রাক্কালে বঙ্গবন্ধু ঘোষিত সুদৃঢ় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার বিষয়টি তাঁর গৃহীত বিভিন্ন কর্মকৌশল বাস্তবায়নে দৃশ্যমান হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়, বন্যাসহ সকল ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগে জীবন-সম্পদহানি হ্রাস করে দুর্যোগ মোকাবিলায় দেশের সক্ষমতা অর্জনে বঙ্গবন্ধু বিশেষ গুরুত্ব সহকারে ১৯৭২ সালে ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয় নামে আলাদা মন্ত্রণালয় গঠন এবং বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র চালু করেন। উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ে বিপুলসংখ্যক লোকের প্রাণহানি, জনবসতি ও সম্পদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিত বিবেচনায় প্রাকৃতিক দুর্যোগকালীন নিরাপদ আশ্রয়স্থল গড়ে তোলতে বঙ্গবন্ধু জাতিসংঘ ও বাংলাদেশ রেড ক্রস সোসাইটির সহায়তায় উঁচু মাটির ঢিবির আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করেন। সরকারি খাস জমি এবং বঙ্গবন্ধুর অনুরোধে বিত্তশালীদের দানকৃত জায়গায় নির্মিত এই আশ্রয়কেন্দগুলোকে স্থানীয় জনগণ ভালোবাসা-কৃতজ্ঞতায় ‘মুজিব কিল্লা’ হিসেবে নামকরণ করেন। মুজিব কিল্লা সংলগ্ন খননকৃত পুকুর-দিঘির পানি শুষ্ক মৌসুমে উপকূলীয় অঞ্চলের তীব্র সুপেয় পানির অভাব পূরণ এবং পাড়ে লাগানো বিভিন্ন প্রজাতির গাছ পরিবেশ বিপর্যয় থেকে দেশকে রক্ষা করতে সহায়তা করেছে।

অতীতের ঘূর্ণিঝড়ের অভিজ্ঞতার আলোকে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে উপকূলীয় এলাকার জনগণের মাঝে আগাম সতর্ক বার্তা পৌঁছে দিতে বঙ্গবন্ধু ‘ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি)’ পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। তিনি লীগ অব রেড ক্রস, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি এবং বাংলাদেশ রেড ক্রসের সহায়তায় সিপিপি গঠন প্রক্রিয়ায় জোরালো সমর্থন জানান। ১৯৭২ সালে ফেব্রুয়ারিতে পটুয়াখালির গলাচিপা উপজেলায় কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবক, তৎকালীন ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী এবং স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রী মতিউর রহমান, বাংলাদেশ রেড ক্রস সোসাইটির চেয়ারম্যান গাজী গোলাম মোস্তফা, সিপিপি কার্যক্রমের প্রথম জরিপ-পরিকল্পনা প্রণয়নকারী সুইস ডেলিগেট ক্ল্যাস হেগস্টমের উপস্থিতিতে সিপিপি আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে। ১৯৭৩ সাল ৩০ জুন লীগ অব রেড ক্রস এবং রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি মাঠপর্যায়ে কর্মসূচির আর্থিক সহযোগিতা প্রত্যাহার করে বাংলাদেশ সরকারকে এর দায়িত্বভার গ্রহণের অনুরোধ জানালে বঙ্গবন্ধু অকপটে সিপিপির জন্য আর্থিক সহযোগিতার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে সে সময় প্রায় ২০ হাজার ৪৩০ জন স্বেচ্ছাসেবক মানবিক সহযোগিতায় এগিয়ে আসে। বিভিন্ন পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে সিপিপির প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবকের সংখ্যা ৭৬ হাজার ১২০ যার অর্ধেকই নারী স্বেচ্ছাসেবী। সিপিপি কর্মসূচি এখন বিডিআরসিএস এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রালয়ের দিকনির্দেশনায় নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে।

১৯৭৩-৭৪ অর্থবছরে মাত্র ৯৯৫ কোটি টাকার বাজেটের মধ্যেও বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ১৯৭৪ সালের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে ২০০ কোটি বরাদ্দ দেওয়া হয়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বঙ্গবন্ধুর সকল পরিকল্পনা গ্রহণ-বাস্তবায়ন ছিল যুগান্তকারী ও অত্যন্ত সাহসিক। ১৯৭৩ সালে আন্তর্জাতিক মূল্যস্ফীতি এবং বিশ্বব্যাপী খাদ্য-সার-তেল সঙ্কটের কারণে বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতিতে সরকারের পক্ষে খাদ্য আমদানি দুষ্কর হয়ে পড়েছিল। অধিকন্তু পরাজিত শক্তির দেশীয়-আন্তর্জাতিক চক্রান্তে যথাসময়ে খাদ্যশস্যের সরবরাহকে বাধাগ্রস্ত করে বাজারে চালের অস্বাভাবিক উচ্চমূল্য, স্বল্পমেয়াদি ঋণ গ্রহণে সমস্যা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে বিরোধীতাকারী বিশ্ব সম্প্রদায়ের অসহযোগিতাসহ সকল মানবসৃষ্ট দুর্যোগের মধ্যেও বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ সফলভাবে মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী নেতৃত্বে ফলে ১৯৭৪ সালে বন্যা দুর্গত অঞ্চলে চীনা রেডক্রসের একটি দল সফর এবং এক বিলিয়ন ডলারের সহযোগিতা প্রদান করেন। ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বঙ্গবন্ধু প্রদত্ত প্রস্তাবের নিরিখে জাতিসংঘ ‘ইউএনডিআরআর’ কার্যক্রম গ্রহণ করে। ১৯৭৫ সালে বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র স্থাপিত হলে দুর্যোগ মোকাবিলায় উন্নত টেলিযোগাযোগের দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়। বঙ্গবন্ধুর অবিস্মরণীয় কর্মযজ্ঞের ফলস্বরূপ আজ বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় ‘রোল মডেল’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। বিশ্বের বহুদেশ বঙ্গবন্ধুর সিপিপি মডেল অনুসরণ করছে এবং দুর্যোগ সংক্রান্ত প্রায় বৈশ্বিক আসরসমূহে সফল কার্যক্রমের উদাহরণ হিসেবে উপস্থাপিত হচ্ছে।

১৩ অক্টোবর ২০২২ আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস-২০২২ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় সরকারের বিনিয়োগ, দুর্যোগের পূর্বাভাস ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, নতুন আশ্রয় কেন্দ্র স্থাপন, দুর্যোগের পূর্বপ্রস্তুতি, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার এবং উদ্ধার কার্যক্রমে স্বেচ্ছাসেবীদের নিবেদিত প্রচেষ্টাসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগে জান-মালের ক্ষয়ক্ষতি এক ডিজিটে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। ফলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ এখন রোল মডেল হয়েছে।’

বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই নদী ভাঙনের পূর্বাভাস দেওয়ার দক্ষতা প্রমাণ দিয়েছে। দুর্যোগের ক্ষয়-ক্ষতি কমিয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় নিজ নিজ অবস্থান থেকে সকলের সচেতন থাকার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রাণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তির সূত্রানুযায়ী ২৫ জানুয়ারি ২০২২ বাংলাদেশ, ভারত, চীন, পাকিস্তান, কম্বোডিয়া, নেপাল, ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা এবং থাইল্যান্ডের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এশিয়ান ডিজাস্টার প্রিপেয়ার্ডনেস সেন্টারের (এডিপিসি) বোর্ড অব ট্রাস্টির তৃতীয় সভায় বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বেশ প্রশংসিত হয়েছে। সভায় অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধিরা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাকে অত্যন্ত কার্যকরী বলে মন্তব্য করেছেন। বিশ্বের অনেক দেশেই বর্তমানে বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মডেল অনুসরণ করছে বলেও সভায় অভিমত প্রকাশ পেয়েছে। এইসব প্রশংসার মূলে কার্যকর পটভূমি হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক চিন্তা-চেতনা ও দুর্যোগ মোকাবিলায় একনিষ্ঠ-আন্তরিক-বাস্তবসম্মত যুগোপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের দৃষ্টান্ত। অসাধারণ বুদ্ধিমত্তা-জ্ঞান-যুক্তিনির্ভর মেধা ও প্রজ্ঞার সমন্বয় ঘটিয়ে মহান স্রষ্টার অপার কৃপায় জনগণের শক্তিতে বলীয়ান ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। বিষয়সমূহ পর্যালোচনায় দৃঢ়চিত্তে এটুকু দাবী করা যায়; বঙ্গবন্ধু ছিলেন দুর্যোগ লাঘব পরিকল্পনা-বাস্তবায়নে সমগ্র বিশ্বে অনন্য রূপকার-চিরঞ্জীব পথিকৃৎ।

লেখক : শিক্ষাবিদ, কলামিস্ট; সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

পূর্ববর্তী নিবন্ধহল্যান্ড থেকে
পরবর্তী নিবন্ধসুধাকণ্ঠ প্রেম