উত্তর গোলার্ধে গত দুই হাজার বছরের যে কোনো সময়ের তুলনায় ২০২৩ এর গ্রীষ্ম বেশি গরম ছিল বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে। তবে চলতি বছরের গ্রীষ্ম ২০২৩ এর উষ্ণতাকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে মঙ্গলবার নেচার সাময়িকীতে প্রকাশিত ওই গবেষণা নিবন্ধে বলা হয়েছে। এল নিনো আবহাওয়া চক্রের সঙ্গে মানব সৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্ব উত্তপ্ত হয়ে উঠতে থাকায় এমনটি হবে বলে গবেষকরা জানিয়েছেন। খবর বিডিনিউজের।
এর আগে বিজ্ঞানীরা নির্ধারণ করেছিলেন, ১৮৫০ সালের পর থেকে সবচেয়ে উষ্ণ বছর ছিল ২০২৩। ১৮৫০ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রার আধুনিক রেকর্ড রাখা শুরু হয়েছিল। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গবেষকরা জলবায়ু পুনর্গঠনের সঙ্গে যান্ত্রিক পরিমাপ যুক্ত করে তাপমাত্রার দুই হাজার বছরের রেকর্ড নির্ণয় করতে সক্ষম হয়েছেন।
তারা দেখতে পান, গত গ্রীষ্মের চরম উষ্ণতা শুধু আধুনিক রেকর্ডই গুড়িয়ে দেয়নি, পাশাপাশি যান্ত্রিক রেকর্ড রাখা শুরু হওয়ার আগের উষ্ণতম গ্রীষ্ম যা ২৪৬ সালে হয়েছিল, তার চেয়েও গত বছরের গরমকালের তাপমাত্রা আধা ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল। গবেষণার সহ–গবেষক যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের উলফ বানকেন বলেন, আপনি যখন ইতিহাসের দীর্ঘ রেকর্ডের দিকে তাকাবেন তখনই দেখবেন সামপ্রতিক বৈশ্বিক উষ্ণতা কতোটা নাটকীয়।
২০২৩ অত্যন্ত উষ্ণ বছর ছিল আর এই প্রবণতা চলতেই থাকবে যদি আমরা গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গমণ নাটকীয়ভাবে কমাতে না পারি। বানকেন ও তার সহ–গবেষকরা তাদের বিশ্লেষণের জন্য ৩০তম উত্তর অক্ষরেখা থেকে উত্তর গোলার্ধ পর্যন্ত ভূমিগুলো বেছে নিয়েছিলেন। কারণ এখানেই বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী আবহাওয়া কেন্দ্রগুলো আছে।
তারা উত্তর গোলার্ধের নয়টি অঞ্চলের হাজার হাজার গাছের বলয়গুলো পরীক্ষা করে ওইসব অঞ্চলের ঐতিহাসিক জলবায়ু পরিস্থিতি পুননির্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্মাণ করেন। গাছের কাণ্ডের কাঠের মধ্যে যে বলয় তৈরি হয় তা আবহাওয়ার মাধ্যমে প্রভাবিত হয়। তাই গাছের বলয়ের মধ্যে অতীতের তাপমাত্রার গুরুত্বপূর্ণ সংকেত রক্ষিত থাকে। গ্রীষ্মকালীন তাপমাত্রার সঙ্গে গাছের বলয়ের গভীর সম্পর্কের সূত্র ধরে বিজ্ঞানীরা জুন থেকে অগাস্ট পর্যন্ত সময়টি হিসাবে নিয়ে তাদের গবেষণা পরিচালনা করেন।