দুই শিশু যেভাবে নিখোঁজ ও উদ্ধার

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ৪ এপ্রিল, ২০২৩ at ৫:০০ পূর্বাহ্ণ

নগরীর হালিশহর ও খুলশী থানা এলাকা থেকে নিখোঁজ দুই কন্যা শিশুকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধার দুই শিশু হলো হালিশহরের রামপুরা এলাকার মো. আলমগীরের কন্যা জান্নাতুল ফেরদৌস মাইশা ও খুলশীর সেগুন বাগান এলাকার বেলাল হোসেনের কন্যা জান্নাত আক্তার। তারা দুজনই ৯ বছর বয়সী।

গত রোববার রাতে নগরীর হালিশহর থানাধীন সিঅ্যান্ডবি ও খুলশীর মাস্টার লেইন এলাকা থেকে পৃথক অভিযানে তাদের উদ্ধার করা হয়। তবে তারা অপহৃত হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, হালিশহর এলাকায় জান্নাতুল ফেরদৌস মাইশা () নামে নিখোঁজ এক শিশুকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর আগে গত ২৮ মার্চ সন্ধ্যায় লেখাপড়ার জন্য তার মা শাসন করলে অভিমান করে হালিশহরের পূর্ব রামপুরা এলাকার বাসা থেকে বের হয়ে যায় মাইশা। দীর্ঘসময় ধরে খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে ২৯ মার্চ মাইশার পরিবার হালিশহর থানায় একটি নিখোঁজ মামলা করে। শিশু মাইশাকে উদ্ধারের জন্য হালিশহর থানা, নগর গোয়েন্দা শাখা, কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ও পিবিআইয়ের একাধিক টিম উদ্ধার অভিযানে নামে। দলটি ওই শিশুর স্বজন ও স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ, ঘটনাস্থলের আশেপাশে তল্লাশি, নগরের বিভিন্ন থানায় মাইকিং এবং বাস, রেলস্টেশন, শপিংমলসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পোস্টারিং করে। নগরীর মনসুরাবাদ, দেওয়ানহাট, টাইগারপাস, আমবাগান, পলোগ্রাউন্ডসহ আশেপাশের মোড়ের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করা হয়। সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে গতকাল হালিশহর বড় পুকুর পাড়ের শাহাব মিয়ার ভাড়া ঘরের মোহাম্মদ টিপুর বাসা থেকে মাইশাকে উদ্ধার করা হয়। টিপু (৩১) আনোয়ারা থানার খাসখামা ফুলগাজী বাড়ির মৃত মো. কামালের পুত্র।

জিজ্ঞাসাবাদে টিপু জানান, গত ২৮ মার্চ রাতে তিনি পুরাতন রেলস্টেশনে মেয়েটিকে বসে থাকতে দেখেন। তিনিও কাছাকাছি বসেছিলেন। রাত ৯টার দিকে তিনি চলে আসার সময় তার পিছু নেয় শিশু মাইশা। এ সময় পরিচয় জিজ্ঞেস করেও কিছুই জানতে পারেননি তিনি। আশপাশে কোনো পরিচিত বা আত্মীয়স্বজন না পেয়ে রেলস্টেশন অনিরাপদ মনে করে মাইশাকে বাসায় নিয়ে আসেন তিনি। পরে ওই শিশুর পরিবারের খোঁজ করেও ব্যর্থ হন।

এদিকে গত ২৭ মার্চ রাত নয়টার দিকে খুলশী সেগুন বাগান এলাকার ভাইয়ের বাসা থেকে নিখোঁজ হয় ৯ বছর বয়সী আরেক শিশু জান্নাত আক্তার। শিশুটির মা মারা যাওয়ায় ভাইয়ের বাসায় থাকত। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে না পেয়ে খুশলী থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়।

খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমার নেতৃত্বে গত ২ এপ্রিল গভীর রাতে খুলশী মাস্টার লেইন অগ্রদূত ক্লাবের পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দা রেল কর্মচারী রেহানা আক্তারের বাসা থেকে জান্নাত আক্তারকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় পুলিশ জানতে পারে, জান্নাতের মা মারা গেছেন। এতিম এ শিশুকে তার বাবা ও পরিবারের অন্যদের না জানিয়ে খালাত বোন সাজু আক্তার লালনপালনের জন্য রেল কর্মচারী রেহানা আক্তারের বাসায় দিয়ে এসেছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধইভিএমে নয়, সব আসনে ব্যালটে ভোট
পরবর্তী নিবন্ধসেবায় শীর্ষে, বরাদ্দে পিছিয়ে