দুই বছর পর বাকপ্রতিবন্ধী মহিমা ফিরে পেল মা-বাবাকে

হাটহাজারী প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ২৪ মার্চ, ২০২২ at ৯:৪০ পূর্বাহ্ণ

দুই বছর পর বাকপ্রতিবন্ধী মহিমা (১১) ফিরে পেল তার মা-বাবাকে। দুই বছর আগে সে বাড়ি থেকে হারিয়ে যায়। নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলার চাটখিল বাজারে গত ১০ মার্চ রাত সোয়া ১টার দিকে একটি শিশুকে কান্না করতে দেখে টহল পুলিশ তার নাম-ঠিকানা জানতে চায়। কিন্তু সে কিছুই বলতে পারেনি। তখন চাটখিল পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নওশাদ কবির বিষয়টি অফিসার ইনচার্জ চাটখিল নোয়াখালীকে অবগত করলে শিশুটিকে থানায় নিয়ে যেতে বলেন। পরবর্তীতে থানার শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা সালমা আক্তার শিশুটিকে হেফাজতে নিয়ে শিশুটির পরিচয় জানার চেষ্টা করেন। তখন শিশুটিকে কাগজ-কলম দিলে সে তার নাম মহিমা, পিতা শরীফ, মাতা ছালেহা লিখতে পারে। ঠিকানা বলতে না হয় পারায় শিশুটির নিরাপত্তার স্বার্থে তাকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার চাটখিল নোয়াখালীর নিকট হাজির করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাকে গত ১০ মার্চ হাটহাজারীতে সমাজসেবা অধিদফতর পরিচালিত ফরহাদবাবদ সেফহোমে প্রেরণ করেন। সেই থেকে ওখানেই ছিল।
২১ মার্চ মেয়েটির মা-বাবার সন্ধান চেয়ে সেফ হোম কর্তৃপক্ষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও ইউটিউবে ভিডিও প্রচার করে। তাতে সাড়া দিয়ে মহিমার বাবা মো. শরীফ হোসেন সেফ হোম চট্টগ্রামের উপ-তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ আলমগীরের মোবাইল ফোনে ২২ মার্চ যোগাযোগ করেন। তিনি জানান, তার ঠিকানা গ্রাম কলাইন, ডাকঘর জোয়াগ, ১৩ নং জোয়াগ ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা-চান্দিনা, জেলা কুমিল্লা।
২৩ মার্চ মহিমার বাবা মো. শরীফ হোসেন ও মাতা সালেহা বেগম মহিমাকে নেওয়ার জন্য ফরহাদাবাদ সেফ হোমে আসেন। যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া শেষে সেফ হোম চট্টগ্রামের উপ-তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ আলমগীর মহিমাকে তার মা-বাবার কাছে হস্তান্তর করেন। এ সময় এক আবেগঘন পরিবেশ তৈরি হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সমাজকর্মী লাভলী বড়ুয়া, ফাহমিদা খাতুন, রাজিয়া সুলতানা, অফিস সহকারী মো. কামরুল হাসান ও নার্স শিরিন ইসলাম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপল্লীকবি জসীম উদ্‌দীনকে স্মরণ
পরবর্তী নিবন্ধ৭১ এর গণহত্যা দিবসে সমাবেশ ও প্রদীপ প্রজ্জ্বালন আজ