দুই আসামি আবারও রেলের নিয়োগ কমিটির আহ্বায়ক!

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ২৭ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৮:৩৭ পূর্বাহ্ণ

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা নিয়োগ দুর্নীতি মামলার দুই আসামিকে আবারও রেলের নিয়োগ কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। এই নিয়ে রেল অঙ্গনে নানান সমালোচনা চলছে। এই নিয়োগ কমিটি সংশোধন হওয়ার কথা থাকলেও এখনো পর্যন্ত সংশোধন হয়নি বলে জানা গেছে। নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের করা মামলার দুই আসামি হলেন, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের নিরাপত্তা বাহিনীর চিফ কমান্ড্যান্ট মো. জহিরুল ইসলাম ও পশ্চিমাঞ্চলের চিফ কমান্ড্যান্ট মোহাম্মদ আশাবুল ইসলাম।

 

রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ৩০ জুন রেল মন্ত্রণালয়ের উপসচিব তৌফিক ইমাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের চিফ কমান্ড্যান্ট জহিরুল ইসলামকে পূর্বাঞ্চলের ৮০৬ জন সিপাহী নিয়োগ কমিটির আহ্বায়ক এবং পশ্চিমাঞ্চলের চিফ কমান্ড্যান্ট আশাবুল ইসলাম পশ্চিমাঞ্চলের ২৪ জন (৪ জন এসআই ও ২০ জন এএসআই) নিয়োগ কমিটির আহ্বায়ক করা হয়।

উল্লেখ্য ২০১৮ সালে ১৮৫ জন সিপাহী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত হলে তখন বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশন আমলে নিয়ে সেই সময়ের নিয়োগ কমিটির আহ্বায়ক মো. ইকবাল হোসেন ও সদস্য সচিব মোহা. আশাবুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ ডাকে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এরপর থেকে সেই অভিযোগের অনুসন্ধান করে আসছিল দুদক। এরপর দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর নিয়োগ দুর্নীতিতে তাদের জড়িত থাকার সত্যতা পায় দুদক।

ওই ঘটনায় দুদকের উপপরিচালক সিরাজুল হক গত ২৮ আগস্ট রেলের পাঁচজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় মোহা. আশাবুল ইসলাম সহ চারজন ঢাকার উচ্চ আদালত হতে ছয় সপ্তাহের অস্থায়ী জামিন নেন। পরবর্তীতে চট্টগ্রামে নিম্ন আদালত থেকে জামিন নেন তারা।

এছাড়া রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের আরএনবির সাবেক চিফ কমান্ড্যান্ট ইকবাল হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলেও তিনি মারা যাওয়ায় মামলায় তার নাম রাখা হয়নি। এদের মধ্যে জহিরুল ইসলাম সে সময় আরএনবির ঢাকা বিভাগের কমান্ড্যান্ট, মোহা. আশাবুল ইসলাম চট্টগ্রাম বিভাগের কমান্ড্যান্ট এবং ফুয়াদ হাসান পরাগ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের কমান্ড্যান্ট পদে কর্মরত ছিলেন।

এ ব্যাপারে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এই বিষয়ে সচিব মহোদয়কে সাংবাদিকরা জিজ্ঞেস করেছিলেন। এই নিয়োগ কমিটি সংশোধন হওয়ার কথা বলেছিলেন বলে আমার মনে পরে। এরপর আর কি হয়েছে এই মুহূর্তে আমার জানা নেই।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচিনির দাম আবারও বাড়ল
পরবর্তী নিবন্ধনকশা চূড়ান্ত করে কোরিয়া এক্সিম ব্যাংকের কাছে জমা