দাবি আদায়ের নামে এটা নৈরাজ্য

ইঞ্জিনিয়ার দেলোয়ার মজুমদার

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ২৪ আগস্ট, ২০২২ at ৬:১০ পূর্বাহ্ণ

জঙ্গল সলিমপুরের বাসিন্দাদের বিদ্যুৎ ও পানি সংযোগ দেয়ার দাবিতে দেশের লাইফলাইন খ্যাত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ৬ ঘণ্টা অবরোধ করে রাখার বিষয়টিকে নৈরাজ্যকর বলে আখ্যায়িত করেছেন বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন চট্টগ্রামের সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার দেলোয়ার মজুমদার। তিনি বলেন, দাবি আদায়ের এই কৌশল মেনে নেয়া যায় না। এটা অপকৌশল, নৈরাজ্যকর। নৈরাজ্যকর কোনো পরিস্থিতি কোনোদিনই সুফল আনতে পারে না। জঙ্গল সলিমপুরের সরকারি খাস জায়গায় দিনের পর দিন বসতি গড়ে ওঠার পেছনে যারা জড়িত তাদেরকেও চিহ্নিত করার দাবি জানিয়েছেন এই প্রকৌশলী নেতা। তিনি বলেন, দিনের পর দিন মানুষকে প্রশ্রয় দেয়া হয়েছে, প্রলুব্ধ করা হয়েছে। এটার পেছনে যারা জড়িত তাদেরকেও বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
ইঞ্জিনিয়ার দেলোয়ার মজুমদার বলেন, দেশে কোনো ভূমিহীন থাকবে না-এটা বর্তমান সরকারের একটি বড় ধরনের পরিকল্পনা। জঙ্গল সলিমপুরে যদি প্রকৃতই কোনো ভূমিহীন থাকে তাহলে সরকার নিজেদের সুবিধাজনক স্থানে তাদের পুনর্বাসন করবে। কিন্তু জিম্মি করে পুনর্বাসনের দাবি আদায় করার সুযোগ নেই। এটা অন্যায়।
তিনি বলেন, গতকাল দুপুর থেকে সন্ধ্যা অবধি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ করে রাখা হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন। বহু অসুস্থ মানুষ রাস্তায় আটকা পড়ে কষ্ট করেছেন। পরিবহন ব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়ায় রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এসব মেনে নেয়া যায় না। আমরা প্রকৃত ভূমিহীনদের পুনর্বাসন করার জন্য সরকারের প্রতি আবেদন জানাতে পারি, দেশের সাধারণ মানুষকে জিম্মি করতে পারি না।
তিনি বলেন, এখানে সংঘবদ্ধ কোনো চক্র জড়িত আছে কিনা, সরকারি ভূমি গ্রাস করার জন্য কোনো ভূমিদস্যু জড়িত কিনা, পাহাড়ের ভিতরে গড়ে ওঠা বসতিতে বিদ্যুৎ এবং পানির সংযোগ কারা কিভাবে দিল, সবাইকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই। একটি অন্যায়কে প্রশ্রয় দিলে শত শত অন্যায়ের সৃষ্টি হয়। জঙ্গল সলিমপুরে অনেক অন্যায় হয়েছে। এসব অন্যায় অংকুরে শেষ করে দিলে আজকের নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি দেখতে হতো না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচমেক হাসপাতাল থেকে ভুয়া সেনা সদস্য আটক
পরবর্তী নিবন্ধবিদ্যুতের খুঁটিতে আগুন