দমকা হাওয়ায় সাগরে ডুবল ৫ ট্রলার, নিখোঁজ ১

| সোমবার , ২০ মার্চ, ২০২৩ at ৫:০৬ পূর্বাহ্ণ

কালবৈশাখীর দমকা হাওয়ার কবলে পড়ে বঙ্গোপসাগরে লবণবাহী পাঁচটি কার্গো ট্রলার ডুবে গেছে। এ ঘটনায় ট্রলারগুলোর ২৪ মাঝিমাল্লাকে উদ্ধার করা গেলেও নেছার উদ্দিন (২৭) নামে একজন নিখোঁজ রয়েছেন। নেছার বাঁশখালী উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নের খুদুকখালী ৬০ নম্বর পাড়ার নাগু মিয়ার ছেলে।

গতকাল রোববার সকালে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের খোর্দ্দগহিরা ছিপাতলী ঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। গহিরা নৌ পুলিশের ইনচার্জ আবদুল খালেক পাঁচ ট্রলার থেকে ২৪ মাঝিকে উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিখোঁজ মাঝিকে উদ্ধারে কাজ করছে নৌ পুলিশ। খবর বাসসের।

কোস্টগার্ড ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বাঁশখালী, মহেশখালী ও কুতুবদিয়া থেকে ট্রলারগুলো লবণ বোঝাই করে চট্টগ্রাম শহরের মাঝিরঘাট যাচ্ছিল। পথে বঙ্গোপসাগরের আনোয়ারা উপকূল এলাকায় পৌঁছলে আচমকা কালবৈশাখীর দমকা হাওয়ার কবলে পড়ে ট্রলারগুলো। এতে একের পর এক ট্রলারগুলো ডুবে যায়। পরে স্থানীয় জেলেরা মাছ ধরার নৌকা নিয়ে ২৪ জন মাঝিমাল্লাকে উদ্ধার করলেও নেছার উদ্দিনের সন্ধান পাওয়া যায়নি। এতে প্রায় ৭ হাজার মণ লবণ পানিতে তলিয়ে যায়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সাগরে নিমজ্জিত ট্রলারগুলো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

ডুবে যাওয়া এমভি জাহাঙ্গীর নামে ট্রলারের মাঝি বেলাল উদ্দিন জানান, সকালে দমকা হাওয়া শুরু হলে ট্রলারটি হেলে দোলে সাগরে তলিয়ে যায়। এ সময় ট্রলারে থাকা আমিসহ চারজনই ভাসতে থাকি। পরে স্থানীয়রা নৌকা নিয়ে তিনজনকে উদ্ধার করলেও নেছারকে পাওয়া যায়নি।

ট্রলার মালিক কুতুবদিয়ার বাসিন্দা আবুল কাশেম বলেন, ‘এমভি আল্লাহর দান নামের ট্রলারটি ৬৪ মেট্রিকটন লবণ নিয়ে কুতুবদিয়া থেকে চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছিল। একই সঙ্গে কুতুবদিয়ার তিনটি, মহেশখালী ও বাঁশখালীর একটি করে দুটিসহ পাঁচটি ট্রলার গহিরা উপকূলে ডুবে যায়। আমার ডুবে যাওয়া ট্রলারের মূল্য ২০ লাখ টাকা।’

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল আজিজ টিপু বলেন, ‘খারাপ আবহাওয়ার কারণে রোববার সকাল থেকে সাগরে বাতাস ও ঢেউ বেশি ছিল। এ সময় লবণবাহী পাঁচটি ট্রলার চোখের সামনে মুহূর্তের মধ্যে ডুবে যায়। স্থানীয়রা নৌকা নিয়ে ট্রলারের মাঝিদের উদ্ধার করে উপকূলে নিয়ে আসেন বলে তিনি জানান।’

পূর্ববর্তী নিবন্ধদাওয়াত পেল পুলিশও
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম বন্দরে বড় জাহাজ বার্থিং দেওয়া শুরু