তোমার ভূলোকে এক নদী ছিলো

মাহবুবা চৌধুরী | রবিবার , ৩০ মে, ২০২১ at ১০:৪৭ পূর্বাহ্ণ

তোমার ভূলোকে এক নদী ছিলো
যৌবনজ্বলা
সেই নদীর দুকূল প্লাবিত গভীর জল ছিলো
জলের ঠোঁটে উত্তাল ঢেউ
কোনো বিশুদ্ধ স্থপতি নিজস্ব মননে
সুষম ছাঁচে গড়েছে এই নদীদেহ
রন্ধ্রে রন্ধ্রে যার ঢেলে দিয়েছে অনন্ত দ্রাক্ষা রস।
এ যেন এক মহাজাগতিক সৌন্দর্য
চোখ পড়তেই কেঁপে ওঠে নীলগ্রহ।

কি জানি কি সুখে, নদী ডুবে গেছে প্রচণ্ড অসুখে,
তুমি উপাসক ছিলে, বিমূর্ত দুজনে
একে একে লিখে গেছো শতাব্দীর সুপ্রসিদ্ধ গ্রন্থ।

সঞ্চারিণী লতা,
কখন যে ঢুকে পড়ে দুজনের মাঝে
গোপন রক্তের মধ্যে নেশা জাগানিয়া
হৃদপিণ্ডের কাছাকাছি এসেই মোহিনী লীলায়
ফুটিয়ে তুলছে সহস্র রঙিন ফুল
লাল-নীল সবুজ হলুদ পদ্ম। আর
তুমিও মিলিয়ে গেলে ক্লেদজ কুসুমে।

পরিশুদ্ধ নদী জলে
গলে গলে, পড়ে অন্ধকার।
যখন ভাবতে শুরু করি এই গ্রন্থগুলো হয়েছে সার্থক,
তখনই ছিঁড়ে ফেড়ে লণ্ডভণ্ড করেছো মিথ্যে অহমিকায়।
বহুরূপী বিদগ্ধজন তত্ত্বজ্ঞপাপী।
গল্পের পাতার সাথে উড়ে গেছে সব
গৌরব সৌরভ সহ আপাদমস্তক।

স্তিমিত জলের বুকে আকাশের বিশাল চাঁদোয়া
জেগে থাকে রাতভর এক দীপ্ত চাঁদ
ইচ্ছে করে বিশাল আকাশটার বুকে
আবারও শুরু করি লেখা এক নতুন পুস্তক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরক্তে ভেজা বুক
পরবর্তী নিবন্ধইদানীং আমি