ইদানীং আমি

পংকজ দেব অপু | রবিবার , ৩০ মে, ২০২১ at ১০:৪৭ পূর্বাহ্ণ

লোডশেডিংয়ের প্রচণ্ড দাপটে
আলো ছেড়ে অন্ধকারকে
যখন ভেবেছি বন্ধু
বারান্দায় ইতঃস্তত পায়চারি করতে করতে
আমি যখন একেবারে ক্লান্ত বিধ্বস্ত
নিঃসঙ্গতা ঘুচাতে সঙ্গী হলো ‘কষ্ট’
‘কষ্ট’কে নিয়ে বারান্দায় হাঁটছিতো হাঁটছিই
একসময় তক্তপোষের উপর
শরীরটা এলিয়ে দিয়ে
ঘুমিয়ে পড়লাম।
নিদ্রার সরোবরে যখন সাঁতার কাটছি
বিষাক্ত কীটের ছদ্মবেশে এলো ‘বেদনা’;
হুল ফোটানোর যন্ত্রণাকে চেহারায় সাজিয়ে রেখে
গভীর নিদ্রায় নিমগ্ন ঘুমকাতর আমি
একসময় অনুভব করলাম
‘সুখ’ আমার শিয়রের পাশে দাঁড়িয়ে
মাথায় হাত বুলিয়ে আমাকে বললো-
সোনার পালঙ্ক ফেলে
তুমি কেন তক্তপোষে গা এলিয়ে দিয়েছ?
উঠে এসো, তোমাকে আমি
সোনালী শয্যায় শুইয়ে রাখি।’
কাঠের পালঙ্ক যার চিরকালীন সঙ্গী
সোনার পালঙ্কে কি তার ঘুম আসবে?
‘সুখ’-র সুখময় উপস্থিতি ম্লান করে দিয়ে
হঠাৎ দ্রুতবেগে কাছে এলো ‘দুঃখ’;
এসেই একেবারে জয় করে নিলো আমাকে।
সেই থেকেই ‘দুঃখ’-র সাথে আমার সহবাস
‘দুঃখ’-র সাথে খাওয়া-দাওয়া
‘দুঃখ’-র সঙ্গেই নিউমার্কেটে ঘোরাফেরা;
এককথায় প্রাত্যহিক জীবনের পুরো সময়টা
‘দুঃখ’-র সান্নিধ্যে কাটাতে কাটাতে
আজ আমি দুঃখ-প্রুফ মেশিন হয়ে গেছি।
দুঃখের সমুদ্রে আকণ্ঠ ডুবে আছি বলে
‘দুঃখ’ আমাকে গ্রাস করে ফেলবে আপাদমস্তক
সেই ভয় আর নেই
তাই আমি ইদানীং বড় সুখে আছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধতোমার ভূলোকে এক নদী ছিলো
পরবর্তী নিবন্ধইতিহাসের ক্ষয়িষ্ণু পাঠ