পদ্মা, মেঘনা যমুনা নদীর নাই কোন শেষ
তুমিই জাতির জনক শেখ মজিবুর রহমান
তুমিই বাংলাদেশ।
তোমাকে খুঁজে ফিরি বত্রিশ নম্বর বাড়ির প্রতি পরতে পরতে
যেখানে তোমার নিঃশ্বাসের শব্দ বাতাসে
ঘুরে বেড়ায় ইট পাথরে হাহাকারে।
তোমাকে দেখি রক্ত মাখানো সে পিচঢালা পথে
ফেলে যাওয়া কষ্ট বেদনার নীল ছায়ায়।
হাজার যুগ পরে যদি আবার ফিরে আসো মাছরাঙাপাখি ঠোঁটে
বুনোহাঁসে পাখায় যেখানে প্রজাপতি আবির ছড়িয়ে যায় সেখানে
তোমাকে দেখি
সাঁওতালি গানে গানে ভোরের আলোয়
ঝিকিমিকি রোদে।
কৃষাণীর ঘরে তোলা সোনালী ফসলে আনন্দ উচ্ছ্বাসে রঙধনু সাত রঙে।
যদি আসো আবার ফিরে তোমার
ছায়া ঘেরা
এই বাংলায়
দেখা হবে তোমারই সাথে সেই পৌষ মাঘের
কনকনে শীতে
বর্ষার মেঘমালা হয়ে কদম ফুলে টুপটাপ
অশ্রু জলে।
পূর্ণিমা রাতের সমুদ্র বিলাসে রূপালি
আকাশ খুঁজে নিবে
তোমাকে চিকচিক করা বালু কণায়।
ঠিক চিনতে পারবে তোমাকেই
শরতের নীলে শিশির ভেজা দূর্বা ঘাসে ।
ঘরের পাশে তুলসী গাছের পাতায়
চম্পা চামেলি সুবাসে রাতের
হাসনাহেনার সমিরণে।
তোমারি নামে বিজয় নিশান
পৎ পৎ করে উড়ে
স্মৃতির ক্যানভাসে
তোমাকে খুঁজে নেবো কোন শিল্পীর রং তুলিতে
অথবা আউল বাউল
একতারা সুরে
তোমার আসার
খবর টি পৌঁছে দেবে কোনো এক বৈশাখে আম কুড়ানোর ফাঁকে ।
বহুযুগ পরে যদি আবার ফিরে আসো
তোমার হাতের
স্পর্শ বুঝে নেবো অনুভবে তোমার
ছিটকে পড়া
রক্ত মাখা চশমা ও হাত ঘড়ির কাঁটায়।
দেখতে পাবো তোমায় সন্ধ্যা প্রদীপ জ্বেলে
আরতির মাঝে
ফুল তোলা রঙিন রুমালে ভাঁজে
নকসী কাঁথার জমিনে
সেদিন নতুন পথের ঠিকানা ধরে
খুঁজে নিবো
তোমাকে জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগানে।