তিন মাসেও পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন সম্ভব নয় : ইসিপি

পার্লামেন্টের কার্যবিবরণী চাইল সুপ্রিম কোর্ট

| বুধবার , ৬ এপ্রিল, ২০২২ at ৬:২৭ পূর্বাহ্ণ

প্রধানমন্ত্রী ইমরানের প্রস্তাবে জাতীয় পরিষদ বা পার্লামেন্ট ভেঙে দেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার পর যে জটিলতা তৈরি হয়েছে, এই পরিস্থিতিতে আগামী তিন মাসেও দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)। এর কারণ হিসাবে নির্বাচন আয়োজনের নানা বাধা ও প্রক্রিয়াগত চ্যালেঞ্জের কথা জানিয়েছে তারা। কমিশনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ডন জানিয়েছে, সাধারণ নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য ছয় মাস সময় লাগবে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে ওঠা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে পার্লামেন্টের কার্যবিবরণীর নথি চেয়েছে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট। ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি পার্লামেন্টে উত্থাপিত অনাস্থা প্রস্তাব যেভাবে বাতিল করেছেন তার বৈধতা নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার শুরু হওয়া শুনানিতে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত ওই নথি তলব করেছে বলে জানিয়েছে ডন। পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়ালের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি বেঞ্চ এ শুনানির যুক্তিতর্ক শুনছেন। খবর বিডিনিউজের।
মঙ্গলবারের শুনানিতে পিপিপির সেনেটর রেজা রাব্বানি আদালতকে পার্লামেন্টের কার্যপ্রণালীর ‘দায়মুক্তির’ আওতা পরীক্ষা করে দেখতে বলেন। যা হয়েছে তাকে কেবল বেসামরিক মার্শাল ল’ই অ্যাখ্যা দেওয়া যায়, বলেছেন তিনি। তিনি বলেন, অনাস্থা প্রস্তাবকে খাটো করতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিদেশি চক্রান্তের কথা তোলা হয়েছে।
সংবিধান অনুযায়ী, এখন ৯০ দিনের মধ্যে পাকিস্তানে নির্বাচন হতে হবে এবং তা হবে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান হিসেবে নিজেদের মনোনীতদের নাম দেবেন ইমরান খান ও বিরোধীদলীয় নেতা। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে পার্লামেন্টের বিলুপ্তি নিয়ে। বিরোধীরা বলছেন, যেখানে পার্লামেন্টই বিলুপ্ত, সেখানে কে প্রধানমন্ত্রী আর কে বিরোধীদলীয় নেতা? ফলে নতুন করে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হয়েছে দেশটিতে। পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার পর এখন নির্বাচন পরিচালনায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার কীভাবে গঠিত হবে, সেই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅবাধ্য ইমরানকে শাস্তি দিতে চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র : রাশিয়া
পরবর্তী নিবন্ধভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করতে ভালো লাগে