তালেবান সরকারকে এখনই স্বীকৃতি দিচ্ছে না বাংলাদেশ

আজাদী ডেস্ক | বৃহস্পতিবার , ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ৫:২২ পূর্বাহ্ণ

আফগানিস্তানে স্থায়ী একটি সরকার গঠিত হওয়ার পরই কেবল তাদেরকে স্বাগত জানানো কিংবা না জানানোর প্রশ্ন বাংলাদেশের সামনে আসবে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। তালেবানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রেক্ষাপটে গতকাল সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছেন, আফগানিস্তান পরিস্থিতি সরকার এখনো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। আফগান পটপরিবর্তনের এই সময়ে যারা সহায়তা বা মধ্যস্থতা করছেন, তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগে আছে।
তিনি বলেন, এই সরকার গঠিত হওয়ার সাথে সাথে যে প্রক্রিয়াগুলো হয়, স্বাগত জানানো বা স্বাগত জানাচ্ছি না-এ ধরনের সিদ্ধান্তে আমরা যাচ্ছি না। এটা স্পষ্ট করে বলতে চাই। এটা অন্তর্বর্তী সরকার। আমরা স্থায়ী সরকার আসার অপেক্ষা করছি। আমরা তাড়াহুড়োটা করতে চাই না। খবর বিডিনিউজ, বাংলানিউজ ও বাসসের।
পশ্চিমা দেশগুলোর সেনা প্রত্যাহারের সুযোগে কট্টর ইসলামী দল তালেবান সবাইকে চমকে দিয়ে ২০ বছর পর আবারও আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। ১৫ আগস্ট রাজধানী কাবুল দখলের তিন সপ্তাহ পর মঙ্গলবার তাদের অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের ঘোষণা এসেছে। তালেবানের নতুন সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে চীন। তবে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে, তারা তালেবানের সঙ্গে আলোচনায় রাজি, কিন্তু এখনই তাদের সরকারকে তারা স্বীকৃতি দিচ্ছে না।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আফগানিস্তানে বাংলাদেশি যারা ছিলেন, তাদের বড় অংশকে ইতোমধ্যে সরিয়ে আনা গেছে। তবে এখনো ১০ জন সেখানে আছেন। এর মধ্যে তিনজন এনজিওকর্মী। বাকি সাতজন কিন্তু স্বেচ্ছায় রয়ে যাচ্ছেন সেখানে।
স্বাগত জানাল চীন : তালেবানের নতুন সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে চীন। বেইজিং বলেছে, তারা কাবুলে একটি নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আফগানিস্তানে ‘তিন সপ্তাহের অরাজকতার’ সমাপ্তিকে স্বাগত জানিয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েবিন এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, চীন তালেবানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠার ঘোষণা এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সরকারে যুক্ত হওয়াকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে।
অন্যদিকে রাশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশই তালেবান সরকারের গতিবিধি লক্ষ্য করার পদ্ধতি গ্রহণ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ : মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেছেন, নতুন সরকারের তালিকা আমরা লক্ষ্য করেছি। এখানে তালেবান ও তাদের ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা থাকলেও কোনো নারী নেই। এছাড়া এমন কিছু ব্যক্তিকে নেওয়া হয়েছে যাদের দেখে আমরা উদ্বিগ্ন। তিনি আরো বলেন, আমরা বুঝতে পেরেছি তালেবান তত্ত্বাবধায়ক সরকার হিসেবে এটি উপস্থাপন করেছে। আমরা তাদের কাজ দেখে মূল্যায়ন করব, কথায় নয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদুই বন্ধুর ‘চাকরি’ যে কারণে নেই হয়ে গেল
পরবর্তী নিবন্ধরাঙ্গুনিয়ায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ