তারুণ্য হোক প্রাণচঞ্চলতাময়

ফাতিমা ইয়াসমিন | রবিবার , ২ জানুয়ারি, ২০২২ at ১০:৩৯ পূর্বাহ্ণ

তারুণ্য হলো জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় যাকে ‘স্বর্ণালি অধ্যায়’ বলা হয়ে থাকে। কৈশোরের শেষ পর্যায় থেকে শুরু হয়ে যৌবনে পদার্পণ- তারুণ্যের পথচলার হয় শুরু। শীতের সকালে ঘাসের ডগায় পুলকিত শিশির বিন্দুর উপস্থিতি যেমন ক্ষণিকের, উদিয়মান সূর্যের আলোকরশ্মি যেমন দিনের শুরুতে চারদিকে আলোকিত করে আবার শেষ বিকেলে মিলিয়ে যায়, তেমনি তারুণ্যের আবির্ভাবও শুরু হয় একরাশ উদ্দীপনা আর প্রাণচঞ্চলতায় যার ব্যাপ্তি বা সময়সীমা ক্ষণিকের। জীবনের উত্তাল ও প্রাণবন্ত সময়টা পরিপূর্ণ থাকে তেজর্ষিতায়, প্রাণপ্রাচুর্যে, অনাবিল আনন্দ আর উৎকর্ষতায়- দুরন্ত মন মানে না কোনো বাধা, শাসনের বেড়াজালে যা আটকে থাকে না।
নিজেকে ছড়িয়ে দেয়ার, উজার করার শ্রেষ্ঠ এসময়ে রচিত হয়েছে কত কালজয়ী কবিতা ও উপন্যাস, তৈরি হয়েছে কত আলোচিত সৃষ্টিকর্ম, নতুন দিকদর্শন ও উদ্ভাবনী শক্তির পথচলার হয়েছে শুরু।
তাই তো যুগে যুগে মনীষীগণ তারুণ্যের জয়গান গেয়েছেন। তারুণ্য নামক দুর্বার শক্তি জানে শুধু সামনে এগিয়ে যেতে, সকল বাধা-প্রতিকূলতা জয় করতে, নতুন সৃষ্টিকর্মে গা ভাসাতে। তারুণ্য মানে থেমে থাকা, ঝিমিয়ে পড়া, পিছিয়ে পড়া নয়। তারুণ্য মানে অন্ধকার নেশার জগতের বলী হওয়া নয়। জীবনের অমিত সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে সাফল্যের পথ নিশ্চিত করাও নিজেকে ঢেলে সাজানোর এটাই তো সময়। তাই গাহি তারুণ্যের জয়গান- তারুণ্যের প্রতিটা মুহূর্ত হোক তাৎপর্যপূর্ণ ও প্রাণচঞ্চলতাময়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমাঝে মাঝে ভাবি একদিন সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে
পরবর্তী নিবন্ধলালখানবাজারের নাম শহীদনগর করার উদ্যোগকে জানাই স্বাগত