তারুণ্যের আক্ষেপ ও প্রত্যাশা

মো. সাইফুল মিয়া | শনিবার , ২৭ আগস্ট, ২০২২ at ৭:৩৬ পূর্বাহ্ণ

তারুণ্যকে বলা হয় জীবনের সূচনাময়ী সূর্যোদয়। এ সময়ে মানুষের নিজেকে বুঝতে শিখে, নিজেকে প্রকাশ করার যোগ্যতা অর্জন করে। স্রষ্টার সৃষ্টি প্রতিটি মানুষই ভিন্ন। প্রতিটি মানুষের মধ্যে বিশেষ কিছু গুণ আছে, যা অন্য মানুষের থেকে তাকে আলাদা করে। আর এই গুণগুলো অর্জন করার সর্বোৎকৃষ্ট সময় হচ্ছে তারুণ্য। পৃথিবীর যত অসাধ্য সাধন হয়েছে তার অধিকাংশ তরুণদের হাত ধরে হয়েছে। কারণ এ সময়টাই নতুন কিছু সৃষ্টি করার। কিন্তু এই প্রযুক্তি নির্ভর যান্ত্রিক যুগে তরুণরা প্রতিনিয়ত বিষণ্নতা ও হতাশায় নিমজ্জিত হচ্ছে। তাই সুস্থ, সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে তারুণ্যের এ সমস্যা সমাধানের পথ খোঁজা জরুরি।
বর্তমানে অধিকাংশ তরুণরা জীবনের মূল্যবান সময় থেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অলস সময় পার করছে। ফলে একটা সময় পরিশ্রমের তুলনায় প্রত্যাশা বেশি হওয়ার কারণে হতাশ ও বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। অনেকে এসব সমস্যায় জর্জরিত ভিড় থেকে বের হওয়ার পথ না পেয়ে আত্মহত্যাও করছে। আবার অনেকে ঘৃণিত অপরাধের সাথে নিজেকে সম্পর্কিত করছে। দেশে তরুণদের দ্বারা সংঘটিত অপরাধ দিন দিন মারাত্নক আকার ধারণ করছে। মূলত তরুণদের নৈতিক শিক্ষার অভাবে অপরাধের প্রবণতা বাড়ছে। কারণ নৈতিক শিক্ষা মানুষের কুপ্রবৃত্তি ও তার কামনা-বাসনা দূরীকরণ করতে সাহায্য করে। তাই তরুণদের নৈতিক শিক্ষার প্রসার করতে হবে। পাশাপাশি সকলকে তরুণদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসতে হবে। সর্বোপরি, তারুণ্যের বিকাশের জন্য সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচা শ্রমিকের ন্যায্য মজুরি চাই
পরবর্তী নিবন্ধমানবতা হৃদয়ে আঁকড়ে থাকুক মুখ থুবড়ে নয়