চা শ্রমিকের ন্যায্য মজুরি চাই

| শনিবার , ২৭ আগস্ট, ২০২২ at ৭:৩৬ পূর্বাহ্ণ

পানির পরেই চা বিশ্বের সর্বাধিক উপভোগ্য পানীয়। এর এক ধরনের স্নিগ্ধ, প্রশান্তিদায়ক স্বাদ রয়েছে এবং অনেকেই এটি উপভোগ করেন। মানুষ যখন কাজ করে ক্লান্তি অনুভব করে তখন অবসাদ দূর করার জন্য চা এর চুমুক দিয়ে থাকে। এই চা চুমুক দিলেই যেন প্রশান্তি মিলে, শরীর যেন চাঙা হয়ে উঠে। আমাদের দেশে মানুষ সকালের নাস্তার পরে এই চা এর কাপে চুমুক না দিলে পুরো দিনটি যেন অবসাদ, ক্লান্তি লেগে থাকে। তাই ক্লান্তি, অবসাদ, শরীর চাঙা করতে সকালটি শুরু করেন চা এর কাপে চুমুক দিয়েই। রাস্তার ফুটপাতের টং দোকান হতে অত্যাধুনিক রেস্টুরেন্টেও চায়ের কদর প্রচুর। তাই এই চা কে কেন্দ্র করে অহরহ ব্যবসা বাণিজ্য চলে। কিন্তু এই চা তৈরির কাঁচামাল চা পাতা উত্তোলন, চা গাছ রক্ষণাবেক্ষণ, চা পাতা হতে চা তৈরি অর্থাৎ চা বাগানের সাথে সংশ্লিষ্ট মানুষগুলো দিন দিন শোষণের শিকার। এই আধুনিক সমাজে এসেও তাদের দৈনিক বেতন মাত্র ১২০ টাকা। এই বেতনের কথা শুনলেও অনেকে চমকে উঠবে। হ্যাঁ, আধুনিক সমাজে এসেও তারা দাস হিসেবে রয়ে গেছে। যে চা মানুষের ক্লান্তি অবসাদ দূর করে এই চা তৈরির পিছনের শ্রমিকদের জীবনধারণ, মৌলিক চাহিদা, মৌলিক অধিকার হতে বঞ্চিত হয়ে দিন দিন শোষিত হচ্ছে, তাদের এই ক্লান্তি , তাদের এই চাহিদা কবে দূর করবে। বর্তমানে যেখানে সাধারণ শ্রমিকের দৈনিক মজুরি ৫০০ হতে ৮০০ টাকা সেখানে চা শ্রমিকের দাবি ৩০০ টাকা। তাদের এই দাবি পূরণ করে ন্যায্য বেতন প্রতিষ্ঠা করা অতি জরুরি।

গাজী মো. আরাফাত হোসেন
শিক্ষার্থী, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ
চট্টগ্রাম কলেজ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকাজী নজরুল ইসলাম : প্রেম ও দ্রোহের কবি
পরবর্তী নিবন্ধতারুণ্যের আক্ষেপ ও প্রত্যাশা