তাপদাহে পুড়ছে রোপা আমন, দিশেহারা কৃষক

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি | সোমবার , ৫ জুন, ২০২৩ at ৫:৫৫ পূর্বাহ্ণ

রোপণ করা রোপা আমনের চারায় ফাটল ধরেছে। বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। ফেটে চৌচির হয়ে গেছে জমি। তাপদাহের কারণে সীতাকুণ্ড উপজেলার প্রতিটি মাঠের চিত্রই একইরকম। একই অবস্থা মৌসুমি ও বারোমাসি সবজি খেতেরও। মাঠের পর মাঠ পুড়ছে ধান ও সবজি ক্ষেত। দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা।

উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের বশরতনগর এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় কৃষক কুদ্দুস আলীর সাথে। তিনি বলেন, অতিরিক্ত তাপদাহ হচ্ছে এবার। রোদের তাপে ঘর থেকে বের হওয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে। নদীনালাগুলোয় পানি থাকার কথা থাকলেও তেমন পাওয়া যাচ্ছে না। বৃষ্টি নেই প্রায় এক মাস। এ অবস্থায় জমির ধান নষ্ট হওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। মৌসুমের আবাদ এখন অনিশ্চিত। তিনি আরও বলেন, এ মুহূর্তে কৃষকদের যদি গভীর নলকূপ থেকে পানি সেচ করে চাষাবাদ করতে চায়, তাহলে খরচ বেড়ে যাবে। ঘন ঘন সেচ আর অতিরিক্ত খরচ করে চাষাবাদের ফলাফল শূন্য।

উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের বগাচতর এলাকার কৃষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, অনেক কষ্টে মাঠের পাশে একটি ডোবা থেকে পানি সেচে আড়াই বিঘা জমিতে ধানের চারা রোপণ করেছি। কিন্তু ১৫ দিনের মাথায় রোপণ করা ধান গাছগুলো পুড়ে গেছে। বৃষ্টি না হলে এবার আর ধান হবে না। শুধু একজনদুজন নয়, প্রায় সবার খেতেই একই অবস্থা। এ বছর পানির অভাবে অনেক কৃষক বীজতলা তৈরি করতে পারেননি। একই কথা জানিয়েছেন স্থানীয় মৌসুমি ও বারোমাসি সবজি উৎপাদনকারীরাও। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবীবুল্লাহ বলেন, এ সময় রোপা আমনের চাষ মূলত বৃষ্টির পানির উপর নির্ভর করে করা হয়। গত এক মাস ধরে এ অঞ্চলে বৃষ্টি নেই। খালবিলগুলো শুকিয়ে রয়েছে। তাই এ দুর্যোগ মোকাবিলায় বৃষ্টি আসা ছাড়া উপায় নেই।

পূর্ববর্তী নিবন্ধযুবলীগ নেতার মাথায় পিস্তল ঠেকানো খোকন গ্রেপ্তার
পরবর্তী নিবন্ধভিসা জটিলতা, ৯০ হজ এজেন্সিকে শোকজ